• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৮

মোরেলগঞ্জে ঝুঁকিপুর্ন বাঁশের সাঁকোই শিক্ষার্থীদের স্কুল যাতায়াতের একমাত্র ভরসা

প্রতিনিধি: / ২০২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

মেজবাহ ফাহাদ -মোরেলগঞ্জ: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী একটি ইউনিয়ন পঞ্চকরন।এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্য খারইখালী গ্রামের ২৭৬ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে ক্লাস করতে যান শিশু শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষও।
স্হানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে খালটির ওপর একটি সেতু বা কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
২০২০ সালে কাঠের পোলটি ভেঙে গেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য ওই পোলের স্হানে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ৪০ ফুট দৈঘ্যের এই সাঁকো পারাপার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। বৃষ্টির দিনে খালটি সম্পুর্ন ভরে গেলে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায় শিক্ষার্থীরা।
ছুটির দিন ব্যতীত স্থানীয় কয়েকটি  বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। সাঁকো পার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই এসব শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের ব্যাগ সহ পা পিছলে খালের মধ্যে পড়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মধ্য খারইখালী খালের এই  সাকো দিয়ে পঞ্চকরন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,এ জি মকবুল মাদ্রাসা ও ২৭৬ নং মধ্য খারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন পারাপার হয়। এছাড়া কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন সাঁকোটি ব্যবহার করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করি। সম্প্রতি এক শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারের সময় খালে পড়ে যায়,পাঠ্যবই ভিজে যায়। প্রতিদিন এমন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে আমাদের অনেক ভয় করে। এজন্য স্কুলেও আসতে মন চায় না।
২৭৬ নং মধ্য খারইখালী  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ-আলম বলেন,বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কতৃপক্ষের কাছে  জরাজীর্ণ এই সাঁকোর পরিবর্তে একটা কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মানের দাবি জানাই।

২ নং পঞ্চকরন ইউনিয়ন  চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার  বলেন, এই খালের উপরে একটি পোল ছিল,বছর দুইয়েক আগে  পোলটি ভেঙে যায়, বর্তমানে পোলের খুটিতে বাঁশের সাকোঁ  দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাচ্ছে।পোল নির্মানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, তবে এখানে  একটি ব্রীজ অথবা কালভার্ট নির্মান করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে  দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে এলজিইডির মোরেলগঞ্জ উপজেলা  প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম  বলেন,স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাকো পাড় হয়ে স্কুলে যাবার বিষয়টি দুঃখজনক,স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আবেদন পেয়েছি,চলাচলের সুবিধার্থে শীগ্রই  পোল নির্মান করা হবে, তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে খালটিতে একটি স্হায়ী ব্রিজ অথবা কালভার্ট নির্মানের ব্যাবস্হা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com