মো. আল আমিন শেখ: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর এলাকার ছোলমবাড়ীয়া গ্রামে এক কৃষকের গো–খাদ্যসহ কাঁচারী ঘর পুড়ে ছাই। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছানোর পূর্বেই ঘরটি পুড়ে ভষ্ম।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের ছোলমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক বশির হোসেন হাওলাদার (৬০) এর বসত গৃহের দক্ষিন পাশের গো-খাদ্য রাখা পুরাতণ কাঁচারী ঘরে আগুন লেগে সম্পূর্ন ঘরটি পুড়ে ছাই হায়ে যায়। এতে ওই কৃষকের পুড়ে যাওয়া ঘরে থাকা গাছ, খুঁটি, গবাদী পশুর এক বছরের খাদ্যসহ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবী করেন ওই কৃষক। খবর পেয়ে ওই রাতেই মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়, ততক্ষনে ঘরটি পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বশির হাওলাদার বলেন, রাতে সেহরী খেতে উঠে বসত গৃহের সামনের দরজা খুলে দেখি কাঁচারী ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জলছে। বাড়িতে আমি একাই থাকি, ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম তাদের গাড়ি নিয়ে আসার পূর্বেই ঘরটি পুড়ে যায়। তিনি আরো জানান, পূর্ব থেকেই কাঁচারী ঘরে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা, রান্না বান্নারও কোন কাজ হত না, শত্রতা মূলক কেহ এ অগ্নিকন্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয় মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ছোলমবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক বশির হোসেনের পরিত্যাক্ত একটি ঘরে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক তিনিসহ ১১ সদস্যের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেই। তবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে, বিড়ি/সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল জাবির বলেন, ছোলমবাড়ীয়ায় অগ্নিকান্ডের বিষয়টি তিনি অবহিত নন, তবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি সহয়তার আবেদন করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
https://www.kaabait.com