বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিসি বারইখালী গ্রামের কৃষক দুলাল হালদার (৫০), তার স্ত্রী শিল্পি রানী (৪০), বড় ভাই সতিন্দ্র নাথ হালদার (৫৪), কাকাতো ভাই ইন্দ্রেজিৎ হালদার (৪৮) ও পুত্রবধু সীমা রানী (৩২) জখমীরা জানান, ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে দুলাল হালদারের ১টি গরু একই গ্রামের প্রতিবেশী ই¯্রাফিল হাওলাদারের মৎস্য ঘেরের মাঠে গেলে গরুটিকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে বেধে রাখে। পরে গরুর মালিক দুলালের স্ত্রী শিল্পি রানী গরুটি আনতে গেলে ই¯্রাফিল তাকেও মারপিট করে। এ সময় ওই গৃহীনির ডাক চিৎকারে তার স্বামী তাকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারী তাকেও পিটিয়ে জখম করে। পরে মোবাইল ফোনে ই¯্রাফিল তার দলীয় ১৫/২০ জন লোক ডেকে গরাণ কাঠের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হিন্দু পাড়ায় ডুকে ৫ বাড়িতে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট করে ১০ জনকে আহত করেছে। এ ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর ৫ জখমীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক মিন্টু সুতারসহ বাকী ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।
ভুক্তভোগী কৃষক আহত দুলাল হালদার বলেন, এলাকার প্রভাবশালী মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী ই¯্রাফিল হাওলাদার বাধ কেটে লবন পানি প্রবেশ করিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকের শত শত বিঘা ফসলী জমি নষ্ট করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে লাঠি-সোটা নিয়ে তাদের গ্রামের ৫টি পরিবারের ওপারে এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এখনো তারা হুমকী ধামকী দিচ্ছে তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিবে, ওদের ভয়ে গোটা গ্রামের হিন্দু পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও জানানো হয়েছে। থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হবে। প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পিসি বারইখালী গ্রামে হামলার ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের খোঁজ খবর নিয়ে হাসপাতালে তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আহতরা সুস্থ্য হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হবে।
এ বিষয় মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, পিসি বারইখালী গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলার বিষয় তিনি অবহিত নন, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
https://www.kaabait.com