মেট্রোরেলের কর্মচারীরা নিজ নিজ কাজে যোগদান করেছেন। আগামী রোববার থেকে মেট্রোরেল চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ঢাকার প্রেসক্লাবের মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় সচিব মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মেট্রোরেল অতিদ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। তবে মেট্রোরেল চালু হলেও মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আপাতত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ এ দুটি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সচিব এ দুটি স্টেশনের কার্যক্রম চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরআগে এক মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৭ আগস্ট মেট্রোরেল চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মীদের নানা দাবি আদায়ে কর্ম বিরতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার কাজে ফিরেছেন কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মীরা। এ কারণে আগামী সাপ্তাহে রোববার মেট্রোরেল চালু করতে চায় পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, কর্মীরা কাজে ফিরেছেন। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার চেষ্টা করছি। তবে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন দুটি স্টেশন বন্ধ থাকবে। গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। আগুনের কালো ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল। ওইদিন বিকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকে মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এর মাঝে ১১ আগস্ট সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ১৭ আগস্ট মেট্রোরেল চলবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ওই দিন মেট্রোরেল চলাচল সম্ভব হয়নি। গত ৮ আগস্ট মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোর সামনে এক মানববন্ধনে ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেড পর্যায়ের ৭০০’রও বেশি কর্মচারী ছয় দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা করেন। তবে ৬ আগস্ট থেকে তারা বেতন বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মানববন্ধনের পর কয়েক দফা মিটিংয়ে মাধ্যমে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং কাজে যোগদানের অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ।
https://www.kaabait.com