স্পোর্টস: ক্রিকেট বিশ্বে একদমই পরিচিত কোনো নাম নয় মেক্সিকো। তবে দারুণ কিছু উদ্যোগ দিয়ে আইসিসিরি নজর কেড়েছে মেক্সিকো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ভারতের স্ট্রিট চাইল্ড বিশ্বকাপে যেমন দল পাঠিয়েছে তারা, তেমনি তাদের চমকপ্রদ এক উদ্যোগ মেক্সিকো সিটিতে জেলখানার বন্দিদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ক্রিকেট সেশন পরিচালনা করা। এমন সব উদ্যোগের জন্য এবার তারা পেল আইসিসির স্বীকৃতি। এ বছরের আইসিসি ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে মেক্সিকো। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই পুরস্কার জিতেছে আরও পাঁচটি দেশ-ওমান, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল ও স্কটল্যান্ড। মেক্সিকো পুরস্কার জিতেছে ‘আইসিসি ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব দা ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেক্সিকো ক্রিকেটের চেয়ারম্যান বেন ওয়েন এই প্রাপ্তিকে বলেছেন ‘বিশাল এক সম্মান।’ ‘১০০% ফিমেল ক্রিকেট ইনিশিয়েটিভ অব দা ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছে ওমান। ‘ঈৎরপশবঃ৪ঐবৎ’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী প্রতিভা খুঁজে বের করা, পরিচর্যা করা, স্কিল শাণিত করা ও নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগের জন্য এই স্বীকৃতি তারা পেয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য অংশ হিসেবে ‘সফট বল’ দিয়ে ১৬ দলের নারী ক্রিকেট লিগ চালু হয় ওমানে, যেখান থেকে ৯টি দল এখন ক্রিকেট বলের নারী লিগে অংশ নিচ্ছে। ওমান ক্রিকেটের চেয়ারম্যান পাঙ্কাজ খিমজি এই পুরস্কারকে দেখছেন ওমানের নারী ক্রিকেটে অগ্রগতির পথে বড় প্রেরণা হিসেবে। “আশা করি, আরও স্কিল, কলেজ ও স্থানীয় স¤প্রদায়গুলিকে সম্পৃক্ত করে এটাকে আমরা পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারব।” আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে ‘মেন’স পারফরম্যান্স অব দা ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছে নেদারল্যান্ডস। বাছাইপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ডাচরা। এরপর মূল বিশ্বকাপেও তারা চমকপ্রদ পারফরম্যান্সে হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে। রয়্যাল ডাচ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মনিকা ফিসার বলেন, জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে নেদারল্যান্ডসে ক্রিকেটকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে লোকের। “বিশ্বকাপে খেলতে পারাই এদেশেকে অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ডাচ ক্রিকেটের এগিয়ে চলাকে আরও গতিময় করেছে।” সহযোগী দেশগুলোর ‘উইমেন’স পারফরম্যান্স অব দা ইয়ার’ জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এশিয়ায় নারী ক্রিকেটের উঠতি শক্তি থাইল্যান্ডকে হারিয়ে গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে শিরোপা জয় করে। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও তারা সেমি-ফাইনালে পা রাখে। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা, গ্যালারি ভরা দর্শক ও সমর্থকদের আবেগ দিয়ে যারা এর মধ্যেই নজর কেড়েছে ক্রিকেট বিশ্বে, সেই নেপাল জিতেছে ‘আইসিসি ডিজিটাল ফ্যান এনগেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব দা ইয়ার’ পুরস্কার। নেপালের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপালের সচিব পারাস খাড়কা উচ্ছ¡সিত প্রতিক্রিয়া জানান এই প্রাপ্তিতে। “আমাদের পুরো ক্রিকেট স¤প্রদায়ের সামগ্রিক প্রচেষ্টাই ফুটে উঠেছে এই স্বীকৃতিতে, এর মধ্যে আছেন আমাদের সমর্থকেরাও, বছরের পর বছর ধরে যারা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা।” “আমাদের নারী-পুরুষ সবার মধ্যে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি নেপালে একটি প্রাণবন্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রিকেট সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।” ‘ক্রিকেট ফর গুড সোশাল ইম্প্যাক্ট ইনিশিয়েটিভ’ পুরস্কার পেয়েছে স্কটল্যান্ড। ‘বিয়ন্ড বাউন্ডারিস’ নামের একটি চ্যারিটি সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড। এই চ্যারিটি সংস্থা কাজ করে তরুণ, সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষদের নিয়ে। নারী ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা এবং বিনামূল্যে কমিনিউটি সেশন পরিচালনা করেও আসছে তারা।
https://www.kaabait.com