অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনিক আস্থা মানুষের মাঝে দ্রুত স্থাপন করতে চান বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান থেকে যে মানুষের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে সে প্রতাশার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে কাজ করে যেতে চাই।’ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে কাজে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার অবস্থান যা বদলেছে, কিন্তু দায়িত্বের দিক থেকে কোনো অবস্থান বদলায়নি। পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অধীনে যতগুলো বিভাগ আছে তারা যেন পরিবেশের ন্যায় বিচারটাকে দর্শন হিসেবে গ্রহণ করে। সেভাবে তাদের কর্মপরিকল্পনাকে সাজাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনুভব করি যে প্রথাগতভাবে যেভাবে প্রশাসন চলছে, তার কিছু মূল্য আছে। এত দিনের এক্সারসাইজতো মূল্যহীন হতে পারে না। কিন্তু ডেলিভারি বেটার করতে হবে। জনগনের প্রত্যাশার জায়গাটা বেছে নিয়ে, এই যে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যে প্রত্যাশা যোগ হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের একটা সংযোগ তৈরি করতে হবে।’ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কিছু কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধরে এগুবো। এই কাজগুলো মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা আছে। সেখানে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে এগুবো।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো মানুষের আস্থা এ প্রশাসনের ওপরে দ্রæত কিভাবে স্থাপন করা যায়। সেখানে আমরা এমন কিছু কাজ করবো যেখানে মানুষের আস্থা অর্জন হয়। সকল ক্ষেত্রে সুশাসন, জবাবদিহিতা,স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনিক কিছু ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরর এবং বিভাগগুলো কী সিদ্ধান্ত নেয় তা প্রথম থেকেই আমরা তুলে ধরবো। জনগণের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এসব কাজে অবশ্যই গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।’ এর আগে, রিজওয়ানা হাসান সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ে আসেন। এরপর তিনি নিজ দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিচিতি সভা করেন। সেখানে নিজ দপ্তরের কাজ সম্পর্কে ধারণা নেন।
https://www.kaabait.com