অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বললেন, সুন্দর সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে রাসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা।
তিনি বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। আমরা যদি মানবতার মুক্তি, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই তাহলে রাসুলের (সা.) আদর্শের বিকল্প নেই।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আল্লাহর রসুলের প্রত্যেকটি কাজ অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা যদি প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলি, তাহলে আমাদের পার্থিব ও পরকালীন জীবন সফলতায় ভরে উঠবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নবি তার যাপিত জীবনে মানুষের অধিকার দিয়েছেন। তিনিই সর্বপ্রথম মানুষের অধিকার ঘোষণা করেন।
এ সময় হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, মহানবি (সা.) ঘোষণা করেন, আরবের ওপর অনারবের কিংবা অনারবের ওপর আরবের, সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার আলাদা কোনো মর্যাদা নেই। যে মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতি আছে, সে-ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে দামি।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য নিয়েও মহানবি (সা.) আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনটি জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করতে নবি করিম (সা.) নিষেধ করেছেন। প্রবহমান নদীর কিনারে, রাস্তায় ও গাছের ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করলে পরিবেশ দূষিত হয়। এ ছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) গাছ রোপণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে গেছেন।
আগামী দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে মহানবি হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনী আরও উন্নতভাবে প্রকাশ করা হবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
https://www.kaabait.com