• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪

মস্কোর কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি

প্রতিনিধি: / ২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

বিদেশ : ইউক্রেনের সেনাদের প্রতিরোধে রুশ বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনীয় সেনারা রাশিয়ার ভেতর ২০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছেন। ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার এতটা ভেতরে আর কখনো যেতে পারেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন একে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে দেখছেন। রাশিয়ার ভেতরে ইউক্রেনের বাহিনীর এই হামলা গত রোববার ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া এরইমধ্যে সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার কাজের গতি আরো দ্রæত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান ওই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর স্মিরনভ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত শনিবার ইউক্রেনের তিন সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া। এদিকে মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ ইউক্রেন সীমান্তে আরো সেনা মোতায়েন করেছে। বেলারুশের অভিযোগ, ইউক্রেন তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে সীমান্ত পেরিয়ে রুশ ভ‚খÐে আক্রমণের কথা অবশেষে স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার দুর্বলতা প্রকাশ করে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই কিয়েভের হাজারো সেনা কুরস্ক হামলায় অংশ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং মস্কো বাহিনীকে চাপ দেওয়ার জন্য রাশিয়ার ভ‚খÐে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। গত রোববার কুরস্কে ইউক্রেনীয়-রুশ সেনা লড়াই ষষ্ঠ দিনে গড়ায়। রাশিয়া গতকাল দাবি করেছে, তারা কুরস্কে কয়েকটি স্থানে প্রতিপক্ষের সেনাদের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা আকস্মিক হামলা চালায়। তারা রাশিয়ার ভেতরে ১০ কিলোমিটারের বেশি (ছয় মাইল) এগিয়ে গেছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার এত ভেতরে অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে কিয়েভের সেনারা। কুরস্কে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের লড়াই চললেও কিয়েভ সরকারের শীর্ষমহল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দায় নেয়নি। অবশেষে গত শনিবার গভীর রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো রুশ ভ‚খÐে আক্রমণের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, চলমান আক্রমণ প্রমাণ করে, ইউক্রেন বাস্তবিক অর্থেই ন্যায়বিচার আবার অধিষ্ঠিত করতে পারে এবং আগ্রাসনকারীদের ওপর প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, কিয়েভ যুদ্ধকে রাশিয়ার ভ‚খÐে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের নিরাপত্তাবিষয়ক এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্য রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তোলা। তিনি বলেন, ‘আমরা আক্রমণাত্মক রয়েছি। আমাদের লক্ষ্য শত্রæদের অবস্থান টানাহেঁচড়া করা, সর্বাধিক ক্ষতিসাধন এবং রাশিয়ার পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তোলা। কারণ তারা নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করতে অক্ষম হয়েছে।’ এদিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের আক্রমণের কঠোর জবাব দেবে বলে রোববার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, রুশ সেনাবাহিনীর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে বেশি সময় লাগবে না। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণের মুখে কুরস্ক অঞ্চল থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে তারা। ইউক্রেনের ৩৫ ড্রোন ধ্বংস রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল ইউক্রেনের অন্তত ৩৫টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, কুরস্ক, ভোরোনেঝ, বেলগোরোদ, ব্রায়ানস্ক ও ওরেল অঞ্চলকে ইউক্রেন লক্ষ্যবস্তু করেছিল। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের মেয়র ১১ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। ড্রোন হামলায় একাধিক ভবন ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। সূত্র : এএফপি, বিবিসি


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com