ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিজ ভিটে বাড়ি থেকে মনিরুল হাওলাদারের পরিবারকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে তারই চাচাতো ভাই হাবিবুর রহমান। এরই প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ঘর ভেঙে যাওয়ায় সেই ঘর মেরামত করার সময় হাবিবুর রহমানের পরিবারের লোকজনের হামলায় মনিরুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কলি বেগম (২৬) ও তার মা আরেফা বেগম (৬৫)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গত ৩ জুন সকালে ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর কলারন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ ঘটনা স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়. নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিক মনিরুল হাওলাদার। এঘটনায় হামলাকৃতদের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মনিরুল হাওলাদার। মনিরুল স্থানীয় একটি ইট ভাটায় কাজ করে সংসার চালান। এক ভিডিওতে দেখা যায় হামলা করেন হাওয়া বেগম (৫৫), হাফিজা বেগম (২৩), আরিফ (১৪)। অভিযোগ পেয়ে শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ইন্দুরকানী থানার দুই পুলিশ পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী মনিরুল বলেন, আমি নয় শতাংশ জমি কিনেছি একই দাগ এবং ক্ষতিয়ানের এই বাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা চলছে। আমার চাচাতো ভাই হাবিব আমার ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। এবং তারা আমার নামে মিথ্যা মামলাও করেছিল সেই মামলায় আমি জামিন পেয়েছি। পরে সালিসি হয়েছে। সালিসিতে সিদ্ধান্ত হয় আমার ৩৩ ফিট জমি মেপে দিবে। কিন্তু তারা মাপা বন্ধ করেছে। এরপর ঘূর্ণিঝড় রেমালে আমার ঘর ভেঙে যায়। ঘর মেরামত করার সময় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী, ছেলের বৌ ও নাতী মিলে ঘর ভাংচুর করার সময় আমার মা এবং স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি এই অন্যায় এবং নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার জমিতে তারা জোরকরে থাকে, তাই আমার পরিবার বাধা দিয়েছে। মনিরুলের স্ত্রী এবং বৃদ্ধ মা কে মারধর কেন করেছে এই প্রশ্ন করলে হাবিবুর বলেন তাদেরকে মারধর করা হয়নি। হাবিবুর রহমান হামলার ঘটনা অস্বীকার করলেও তার স্ত্রী প্রধান হামলাকারী হাওয়া বেগম এক ভিডিও স্বাক্ষাতকারে সত্যতা স্বীকার করেছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন কেন এমন প্রশ্নের কোনো সদউত্তর দিতে পারেনি কেউ।
ইন্দুরকানী থানার এসআই আব্দুর রহিম এই প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীরা আসলেই ভালো না। হামলার সত্যতা পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
https://www.kaabait.com