পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদায় নিবন্ধন সনদ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল মালেক তদন্ত শুরু করেছেন।১৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক ১২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।বৃহস্পতিবার শিক্ষা
অফিসার জানান,তদন্ত শুরু করেছি যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয় পঞ্চগড়ের বোদায় নিবন্ধন সনদ অর্জনের আগেই মো.কাওছার আলী নামের এক ব্যক্তিকে অবৈধ উপায়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলরামহাট দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। কাওছার আলী বোদা উপজেলার বটতলী চেংমারী এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।
সম্প্রতি এ তথ্য উঠে আসে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে।
জানা যায়,মো.কাওছার আলী ওই প্রতিষ্ঠানে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ নেয় ৩০ আগস্ট ২০১০ সালে,পরবর্তীতে ১০ জুলাই ২০১১ সালে পদত্যাগ করেন এ পদ থেকে।পরে তিনি ৩১ অক্টোবর ২০১১ সালে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে
২৪ ডিসেম্বর ২০১২ সাল থেকে তিনি এমপিওর সুযোগ সুবিধা বা বেতন গ্রহণ করতে থাকেন। কিন্তু ওই শিক্ষকের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে নিবন্ধন সনদ ১১ তম,যার রেজাল্ট হয়েছে ৯ মার্চ ২০১৫ সালে।
অভিযুক্ত শিক্ষক কাওছার আলী মুঠোফোনে ২৭ আগস্ট ২০১৫ সালে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বলে তিনি জানান।কিন্তু তৎকালীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অক্ষয় কুমার রায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে তিনি কোন নিয়োগ দেননি বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই চাঁদ বর্মন জানান,আমি সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছি।যতটা জানি কাওছার আলী নামের ওই শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১১ সালে নিয়োগ পেয়েছেন।