বিদেশ : ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মুম্বাইতে একটি বিমানের আঘাতে অন্তত ৩৯ ফ্ল্যামিঙ্গো মারা গেছে। পরিবেশবাদীরা ঘটনাটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ। ঘটনার পর সোমবার রাতে এমিরেটসের ফ্লাইটটি নিরাপদেই অবতরণ করে। ফ্লাইটিতে মোট তিন শতাধিক যাত্রী ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাখিগুলো স্বাভাবিক পথ থেকে হারিয়ে ফ্লাইটের পথে চলে এসেছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। পরিবেশবাদীরা এ ঘটনার জন্য অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণকেই দায়ী করেছেন। পরিবেশবিদরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাখিরা কাছাকাছি একটি অভয়ারণ্যের দিকে উড়ে যাওয়ার সময় তাদের পথ পরিবর্তন করার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। একজন পরিবেশবাদী এলাকায় থাকা বিদ্যুতের তারগুলোকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ফ্ল্যামিঙ্গোরা এই উঁচু বিদ্যুতের লাইনগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল কিন্তু তারা আটকে পড়ে এবং বিমানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল।’ ঘটনাটি মুম্বাইয়ের উপক‚লীয় অঞ্চলের কাছাকাছি স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রমকে ঘিরে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের দিকে মুম্বাই হাজার হাজার ফ্ল্যামিঙ্গোর অস্থায়ী আবাসে পরিণত হয়। গোলাপি পাখিগুলোকে এক ঝলক দেখার জন্য স্থানীয় ব্যক্তিসহ পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয় মুম্বাই। ফ্ল্যামিঙ্গো দেখার জন্য বিখ্যাত এলাকাটি। এমিরেটসের একজন মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুবাই থেকে মুম্বাই যাওয়ার ফ্লাইটটি অবতরণ করার সময় বিমানের সঙ্গে ফ্ল্যামিঙ্গো পাখিগুলোর সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, ‘বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সকল যাত্রী ও ক্রু নিরাপদে আছেন। তবে দুঃখজনকভাবে, বেশ কয়েকটি ফ্ল্যামিঙ্গো মারা গেছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এমিরেটস সহায়তা করছে।’ মুম্বাইয়ের শহরতলির একদল শিশু রাস্তায় ফ্ল্যামিঙ্গোগুলোর মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর গত সোমবার গভীর রাতে ফ্লেমিংগোর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে, তখন বাসিন্দারা বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ফ্ল্যামিঙ্গোর মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার ব্যাপারে অবগত করেছিল। সোমবার গভীর রাতে প্রায় ২৯টি ফ্ল্যামিঙ্গোর মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং মঙ্গলবার সকালে আরো দশটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বন কর্মকর্তা অমল ভাগবত জানিয়েছেন। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্মকর্তারা মাটি থেকে রক্তাক্ত ফ্ল্যামিঙ্গোগুলোর মৃতদেহ তুলে নিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি
https://www.kaabait.com