• শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫

বাগেরহাটে থামছেনা হামলা ভাংচুর লুট, দুই সাংবাদিক আহত

প্রতিনিধি: / ২১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি: গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ মাঠে না থাকায় বাগেরহাটে থামছেনা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট,
চিংড়ি ঘের, টোলপ্লাজাসহ হামলার ঘটনা। এ থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা প্রেসক্লাবসহ গনমাধ্যম
কর্মী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। বুধবার রাত ৮টার দিকে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায়
দুই সাংবাদিক আহত হয়েছে। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন মহিলা দলের শরণখোলা উপজেলা সভানেত্রী
সাগর আক্তারের উপস্থিতিতে তার দুই ছেলে শামিম হাসান সুজন, সোহাগসহ সন্ত্রাসী হেলাল
তালুকদারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলাকারীরা শরণখোলা
প্রেসক্লাব সভাপতি প্রতিদিনের বাংলাদেশের উপজেলা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন লিটন ও
সাধারণ সম্পাদক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
ভাংচুর করা হয় শরণখোলা প্রেসক্লাবের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ল্যপটপসহ অন্যান্য
আসবাবপত্র। লুট করা হয় প্রেসক্লাবের আরো ২টি কম্পিউটার ও নির্মান কাজের জন্য রাখা তিন
লাখ টাকা। একই দিন বিকালে তালা ভেঙ্গে দখল করে নিয়েছে কচুয়া প্রেসক্লাব।
মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইশ্যাখালী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা কাঁকনের
৬৫ বিঘার একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুর করা হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে
বিএনপি নেতাদের তৎপরতায় কয়েকটি বাড়ী ও খামার থেকে লুন্ঠিত মালামাল ও গরু ফেরত
দেয়ারও ঘটনা ঘটেছে। দড়াটানা সেতুর টোলপ্লাজার দখল ছেড়ে দিয়েছে বিএনপির কর্মীরা।
পাশাপাশি রামপাল- মোংলায় মন্দির-গির্জাসহ সংখ্যালঘুদের জানমাল রক্ষায় চলছে পাহারা।
সহিংসতা বন্ধে বাগেরহাট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং ও সহিংসতা
বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা শহরে কয়েকদিন ধরে মাঠে নেমে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন
করছে।
খোজ নিয়ে জানাগছে, বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতাতের তৎপরতায় সদর উপজেলার ডেমা
গ্রামের একটি খামার থেকে গরুসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়ী ও দোকান থেকে লুন্ঠিত মালামাল
ফেরত দেয়া শুরু হয়েছে। দড়াটানা সেতুর টোলপ্লাজার দখল ছেড়ে দিয়েছে বিএনপির কর্মীরা।
তবে, সদর উপজেলার খাড়াসম্বল গ্রামের বিশ্বজিৎ ডাকুয়ার বাড়ী ও দোকান থেকে লুন্ঠিত
স্বর্ণলংকার ও মালামাল আংশিক ফেরত দেয়ায় তিনি তা গ্রহন করেননি। বিশ্বজিৎ ডাকুয়া
নিজেই এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরণখোলা প্রেসক্লাবে হামলার বিষয়ে বাগেরহাট জেলা জাতিয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী
শাহিদা আক্তার বলেন, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহিংসতা না করতে দলীয়
নেতাকর্মীদের বার বার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরেও যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে
অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ড. শেখ ফুরিদুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনা
গণঅভ্যত্থানে দেশ ছেড়ে পালাবার পর স্বৈরাচারের দোসররা মাঠে পুলিশ না থাকা অবস্থায় দেশে
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দ্রুত ভোল পাল্টে বিএনপির কর্মী সেজে বাগেরহাটেও
ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাট চিংড়ি ঘের দখল শুরু করে। মন্দির-গির্জাসহ সংখ্যালঘুদের জানমাল
রক্ষায় বিএনপির কর্মীরা পাহারা দিচ্ছে। সহিংসতা বন্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং। বিএনপির নেতারা মাঠে রয়েছেন। এরপরও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন বেআইনী কর্মকান্ড করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com