• সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৩

বাগেরহাটে চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় শ্রমিক নির্যাতন

প্রতিনিধি: / ৫৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের দেপাড়া বাজারস্থ তামিম রেফ্রিজারেটর এন্ড সার্ভিসিং সেন্টারের সত্বাধীকারী মোঃ আসাদুল এর বিপক্ষে চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় শ্রমিক নির্যাতন করেছেন বলে
অভিযোগে জানা যায়। সোমবার বেলা ১১ টায় ওই দোকানের শ্রমিক মহিবুল্লাহ
শেখ (২০) কে পারনওয়াপাড়া এলাকা থেকে তুলে নিয়ে কান্দাপাড়া বাজারস্থ আনিচ এর চায়ের দোকানে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে দেপাড়া বাজারে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উত্তেজিত জনতা তাৎক্ষনিক তামিম রেফ্রিজারেটর এন্ড সার্ভিসিং সেন্টার
তালাবদ্ধ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাগেরহাট মডেল থানায় একটি
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মহিবুল্লাহর পিতা মোঃ ইয়হিয়া জানান আমার ছেলে আসাদুল এর নিকট
মাসিক বেতনের ১২ হাজার টাকা পায়। পাওনা টাকা চাইলে আসাদুল এর সঙ্গে
বাকবিতন্ডা হয়, এক পর্যায়ে আসাদুল আমার ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে দোকান
থেকে বের করে দেয়। পরবর্তিতে আমার ছেলে দেপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানালে, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম মোল্লা,
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক ইমাম হাসান
জেলাল, বাদশা হালদার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি
নিস্পত্তি করেন। কিন্তু সুচতুুর আসাদুল কর্মচারীর পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য
কুষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একটি মোবাইল নম্বর থেকে বেলা ১০ টায় পারনওয়াপাড়া তরফদার বাড়ির সামনে কাজ আছে বলে ডেকে পাঠায়। সরল মনা মহিবুল্লাহ কাজের উদ্দেশ্যে পারনওয়াপাড়া এলাকায় পেীছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসাদুল(২৫), রিয়াদ তালুকদার(২৪),তরিকুল(৩০),রানা(২৮),ফরহাদ (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুবৃর্ত্ত জি.আই পাইপ,হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তাকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খেজুরের কাটা ফুটায়। অতঃপর তাকে ওই এলাকা থেকে তুলে নিয়ে কান্দাপাড়া বাজারস্থ আনিচ এর চায়ের দোকানের ভিতর আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। খবর পেয়ে তার পিতা ইয়াহিয়া,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মীর মনিরুজ্জামানের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট রিজিয়া নাসের হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে দেপাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম মোল্লা বলেন,
এর পূর্বেও সন্ত্রাসী আসাদুল এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে,বাপ মুক্তিযোদ্ধা আর
ভাই পুলিশ সদস্য বলে বারবার অন্যায় করার পরেও রেহাই পেয়ে যায়। আমি এই ঘৃণ্য অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সভাপতি আলহাজ¦ খান সোহরাব হোসেন বলেন, আসাদুল একটা বেয়াদব
ইতিপূর্বে এরকম মারপিটের ঘটনা কয়েকবার ঘটিয়েছে যাহা বাজারের শান্তি-
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com