জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাটে কর্মরত দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ ১২ জনের নামে চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাগেরহাটের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা সদরের রনবিজয়পুর এলাকার সোলেমান শেখের ছেলে ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিকদার ইমরান হোসেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, বাগেরহাট ডিএসবি শাখায় কর্মরত এস আই মুস্তাফিজ, এএসআই হাফিজুল ওরফে হাফিজ, রন বিজয়পুর এলাকার সালাম শেখের ছেলে সাব্বির শেখ, জাফর শেখের ছেলে আবির শেখ, মৃত ফরিজ উদ্দিন শেখের ছেলে জাফর শেখ ও সালাম শেখ, আফসার উদ্দিন চাকলাদার এর ছেলে আলতাফ চাকলাদার, মোহর শেখের ছেলে রাজু শেখ, নওশের ফকিরের ছেলে জামিল হাসান শশী, আব্দুর রবের ছেলে আলী শেখ, আমিরুল বিশ্বাসের ছেলে জনি বিশ্বাস এবং পূর্ব সায়েড়া এলাকার মৃত ভিসা পুলিনের ছেলে দুলাল মন্ডল।
মামলার অভিযোগে জানান, আসামীগন দীর্ঘদিন যাবত বাদির নিকট ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। বাদী চাঁদা না দেওয়ার কারণে ঘটনার দিন ৫ আগস্ট সোমবার সকাল ১১ টায় আসামিগণ আইন বহির্ভূতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিম নিয়ে বাদীকে গ্রেফতার করতে যায়। এ সময় ধস্তাধস্তি করে বাদী পালিয়ে গেলে আসামিগণ বাদীর বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিকদার ইমরান হোসেন জানান, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বাগেরহাটে কর্মরত পুলিশের দুই কর্মকর্তা সহ ১২ জনকে আসামি করে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. আতিকুস সামাদ এর আদালতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এস আই মুস্তাফিজ জানান, এ ঘটনার সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত না। বাদীকেও আমি চিনি না। আইনের প্রতি আমার আস্থা আছে। সঠিক তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে বলেও দাবী করেন তিনি।
https://www.kaabait.com