বিদেশ : মার্কিন সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার আল আরাবিয়া ইংরেজিকে বলেছেন, ‘এয়ারড্রপ বা আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার জন্য তারা কাজ শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্য আসছে না এবং আরো সহায়তা সরবরাহের জন্য ‘এয়ারড্রপের’ আদেশ দেবেন। বাইডেন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে না। নিরপরাধ শিশুসহ বেসামরিক মানুষ ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।’ তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জর্দানসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণ গাজায় ফেলা শুরু করা হবে। ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী করবে সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করবে ইসরায়েল যেন বেশিসংখ্যক মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে আরো ট্রাক এবং আরো রাস্তার সুবিধা দেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের শত শত ট্রাক নেওয়া উচিত, শুধু কয়েকটি নয়। আমরা হাল ছেড়ে দেব না এবং আমরা… আরো সহায়তা পাঠানোর জন্য আমাদের প্রত্যেকটি রাস্তা বের করার চেষ্টা করছি।’ যুক্তরাজ্য এবং জর্দান স¤প্রতি উত্তর গাজায় ওষুধ, জ্বালানি, খাদ্যসহ চার টন সাহায্য পাঠিয়েছে। কানাডাও বলেছে, তারা জর্দান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলতে চায়। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে। বাইডেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার কারণে। এদিন মরিয়া ফিলিস্তিনিরা ত্রাণবহরের দিকে ছুটে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় এক শর বেশি লোক নিহত হয়। এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় সত্তে¡ও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেছেন, আমরা এখনো ইসরায়েলকে তাদের আত্মরক্ষার স্বার্থে সাহায্য করছি। সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া, বাসস
https://www.kaabait.com