কক্সবাজার অফিস : বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির আরও ১২ সদস্য
মিয়ানমার থেকে এসে পড়া গোলার দৃশ্য। ৯ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপড়া সীমান্ত থেকে তোলা। প্রবা
মিয়ানমার থেকে এসে পড়া গোলার দৃশ্য। ৯ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপড়া সীমান্ত থেকে তোলা। প্রবা ফটো মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জেরে মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুইজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করেন। ১২ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে তিন দিনে বাংলাদেশে নতুন করে ২৮ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য।
নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।
আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
https://www.kaabait.com