স্পোর্টস: নব্বইয়ের দশকে জাতীয় টেবিল টেনিস দলে জাপানি কোচ এসেছিলেন। এবার প্রথমবারের মতো ঢাকার কোনো ক্লাব জাপান থেকে হাইপ্রোফাইল কোচ এনে চমক সৃষ্টি করেছে। ফিউচার স্পোর্টিং নিজেদের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য এনেছে জাপানের জাতীয় নারী দলের সাবেক কোচ ইউতাকা নাকানোকে। ক্লাবটির হেড কোচ সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন জাভেদ আহমেদজানিয়েছেন, ‘আমরা জাপানি কোচ ইউতাকা নাকানোকে এনেছি। উনি একজন বড় মাপের কোচ। এই কোচের অধীনে আশা করি খেলোয়াড়েরা অনেক উন্নতি করতে পারবে। উনি আমাদের উপদেষ্টা কোচ হয়ে কাজ করবেন।’ ২৫ বছর বয়সী ইউতাকা কোচিংয়ের পাশাপাশি খেলোয়াড়ও। নিজ দেশে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ষোলোতে আছেন। জাপান ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে জুনিয়র চ্যাম্পয়িনশিপে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ঢাকার ক্লাবটিতে তাকে আপাতত এক মাসের জন্য আনা হয়েছে। আরও দুমাস রেখে দেওয়ার কথাবার্তাও চলছে। ক্লাবে যারা নিবন্ধনকৃত খেলোয়াড় রয়েছেন তারাই জাপানি কোচের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবেন। জাপানি কোচের উপস্থিতিতে ফিউচার স্পোর্টিং ক্লাব আগামী ২ মার্চ দিনব্যাপী কলাবাগান ল্যাব এইড আইকনিক ভবনে আয়োজন করবে টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট। দেশের ঘরোয়া ক্লাবের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন পাঁচবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস চৌধুরী, ‘আমার জানা মতে কোনো ক্লাবে এই প্রথমবার বিদেশি কোচ এসেছে। তাও হাইপ্রোফাইল কোচ। জাপান এমনিতে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে চারের মধ্যে আছে। সেখান থেকে বড় মাপের কোচ আনা বড় বিষয়। ওরা টেবিল টেনিসকে অনেক ভালোবাসে। এজন্যই এমন কোচকে নিয়ে এসেছে।’ ২০১৬ সালের এসএ গেমসের আগে উত্তর কোরিয়ান টিটি কোচ কিম সুং হ্যান ও প্রশিক্ষণ সহযোগী কিম সুগানের কাছে সর্বশেষ অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। এরপর আর বিদেশি কোচের দেখা মেলেনি। চাইলে ফেডারেশন থেকেও এমন উদ্যোগ নেওয়া যেতো বলে মনে করেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস, ‘সরকারি পর্যায়ে এমন কোচ আনা কঠিন কোনো কাজ না। যেখানে একটা ঘরোয়া ক্লাব সহজেই এমন কোচ আনতে পারে, ফেডারেশন কেন পারছে না তা বোধগম্য নয়। বর্তমানে এই ফেডারেশনে যারা আছেন তাদের আসলে সেই ইচ্ছে নেই।’
https://www.kaabait.com