মো: সজল মীর, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ গ্রামের মাঝখানে খাল। খাল পারাপারে নেই কোনো কালভার্ট বা ব্রিজ। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয় তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোটিই এখন গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের আজিমুদ্দীন মৌলবি বাড়ির সামনে কপাল ভেড়ার ভারানির খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর।
যুগের স্রোতে বিভিন্ন জনপদের চেহারা পাল্টালেও এখানে বাঁশের সাঁকোটির স্থানে নির্মিত হয়নি কোনো ব্রিজ। একটি সেতুর জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে গ্রাম ও গ্রামের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বর্ষার সময়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে।
তবে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে মির্জাগঞ্জ, সুবিদখালী বাজারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুবিদখালী সরকারি কলেজ, সুবিদখালী মহিলা কলেজ, দরগা শরিফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফেরদৌস, সিদ্দিক, মজিবর ও নয়ন বলেন, এখানে ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল- কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবী, হাট-বাজারের লোকজন পারাপার হচ্ছে। তবে এখানে একটি ব্রিজ নির্মিত হলে এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, এই স্যাকোঁ দিয়ে দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছে। এখানে একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামবাসীর দীর্ঘ বছরের দুঃখ লাগব হবে। এই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর হোসেন বাদশাহ বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ব্রিজ নির্মানের জন্য তালিকা করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।