জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট: নিষিদ্ধ সময়ে বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবন থেকে মধু আহরন করে ফেরার সময় কুমিরের আক্রমনে মোশারফ হোসেন গাজী(৪৭) নামে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(৮ জুন) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল খাল পারি দেওয়ার সময় সে কুমিরের হামলা শিকার হয়। এর পর দেড় ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার করে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা। কিন্তু এর আগে তার মৃত্যু হয়। নিহত মৌয়াল মোশারফ হোসেন খুলনার দাকোব উপজেলার আমির আলী গাজীর ছেলে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ফরেষ্ট অফিসের এসও আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে শনিবার বনে প্রবেশ করে খুলনার দাকোব উপজেলার ঢাংমারী বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্ধা মোশারফ গাজীসহ আরো তিনজন। এর পর মধু আহরন শেষে দুপুর একটার দিকে সাতার কেটে করমজল খাল পারি দেওয়ার সময় কুমিরের হামলার শিকার হন তিনি। এসময় সঙ্গে থাকা বাকী মৌয়ালরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় বন বিভাগের কর্মচারীরা। তারাসহ প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় কুমিরের মুখ থেকে মৌয়াল মোশারফ গাজীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ততক্ষনে মোশারফ গাজী মৃত্যু হয়। কুমিরের হামলার নিহত মৌয়ালের হাত পা মুখ ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ণ রয়েছে।
বনের ঢাংমারী এলাকার বাসিন্ধা মো: আবুল হোসেন জানান, মুলত বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিতে গিয়ে তারা নৌকা ছাড়া খাল সাতরে বনে প্রবেশ করে। মধু আহরন শেষে আবার ফেরার সময় খাল পার হওয়ার সময় প্রথমে মোশারফ গাজীর হাত কামড়ে ধরে কুমির। পরে শরিরের বিভিন্ন অংশে কামড় দেয়। খালে পানি বেশি হওয়ার কারনে হয়তো পায়ে মাটি না পাওয়ায় কুমিরের মুখ থেকে ফিরতে পারেনি মোশারফ।
https://www.kaabait.com