বিদেশ : মধ্য আমেরিকায় ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত এবং হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অবিরাম বর্ষণে নদীর পানি উপচে পড়ছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও ভ‚মিধসের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। মধ্য আমেরিকা মেক্সিকো এবং কলম্বিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। অঞ্চলটি দুই আমেরিকা মহাদেশকে যুক্ত করেছে এবং একই সঙ্গে আটলান্টিক মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে বিচ্ছিন্ন করেছে। গত শুক্রবার সালভাদোরান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখন ১৯-এ পৌঁছেছে। নিহতের মধ্যে ছয়টি শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া ৩ হাজারের বেশি মানুষ অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। এল সালভাদরের নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান লুইস আমায়া গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে।’এদিকে গুয়াতেমালার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১১ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮০ জনের কাছাকাছি এখনও অস্থায়ী শিবিরে আবস্থান করছে। চারটি সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী হন্ডুরাস ইতোমধ্যে ১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ দেশের বেশিরভাগ অংশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও আটলান্টিক উপক‚লের অংশজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পাশাপাশি বজ্রপাত, প্রবল বাতাস, শিলাবৃষ্টি এবং নদীর চারপাশে বন্যা হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ওক্সাকা রাজ্যের একটি শিশু হাসপাতাল থেকে প্রায় ৮০ জনকে সরিয়ে নিয়েছিল। এদিকে উপসাগর ও ক্যারিবিয়ান উপক‚লের চারপাশে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার (৪৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা) বেগে বাতাস এবং ৩ মিটার (১০ ফুট) উচ্চতার ঢেউয়ের সতর্কতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তিশালী বাতাসের কারণে সম্ভাব্য টর্নেডো সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স