দেশপ্রেম ও সেবার মনোভাব নিয়ে বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সততা নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের চেতনা হবে স্বাধীনতার চেতনা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ। বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে অন্যতম প্রধান নিয়ামক শক্তি বাংলাদেশ পুলিশ। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা, প্রগতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতি বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হচ্ছেন। ২০২৩ সালে চাকরিরত অবস্থায় পুলিশের বিভিন্ন পদবির ৩৯৯ জন সদস্য বিভিন্ন কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মধ্যে ১৩৪ সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যরা আন্তরিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, জীবন উৎসর্গ করার মত চরম ত্যাগ স্বীকার করে যে অনন্য নজীর স্থাপন করছেন তার জন্য পুলিশ বাহিনীসহ সারা দেশ আজ গর্বিত। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহŸানে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বীরত্বের যে পরিচয় দিয়েছেন তা কখনো জাতি ভুলবে না। কারণ সে রাতে পুলিশই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ২৬২ জন সদস্য শহীদ হন। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়া পুলিশ সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, জনগণে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা পুলিশ বাহিনীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দেশ সেবার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। যখনই দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, তখনই পুলিশ বাহিনী সেই অপচেষ্টাকে রুখে দিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক রাখে। তাদের এই সক্ষমতা প্রশংসার দাবিদার। বর্তমান সরকার সব সময় পুলিশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাকরিরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান এককালীন পাঁচ লাখ টাকার প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ২০২০ সালে ১ অক্টোবর এই অনুদানের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা করা হয়। এছাড়া বাহিনী থেকে স্থায়ী অবসরে গেলে বা চাকরিতে অক্ষম হয়ে গেলে এই সাহায্যের অনুদান ৪ লাখ টাকা করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত-শিবির, হেফাজতে ইসলামসহ দুর্বৃত্তদের হামলায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে এককালীন ১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা প্রদান করেন। এছাড়া আজীবন রেশন সুবিধা চালু করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন রূপকল্প বাস্তবায়ন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক রাখা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত অপরিহার্য। তা বাস্তবায়নে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। এজন্য এ অর্জনে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সকল পুলিশ সদস্যকে আহŸান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের নিরাপত্তা প্রদান করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি মৃত্যু সেই পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের। দেশকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। মানবাধিকার সমুন্নত রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে যাবার সব ধরনের বাধা দমন করেছে। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করেছে পুলিশ।
এদিকে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশে কোনো রাজবন্দি নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা কারাগারে আছেন তারা বিএনপির হামলাকারী। আসাদুজ্জামান বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে বন্দি আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি বলেন, যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে। তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয়, তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সংবিধান অনুযায়ী যেন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করেছেন দাবি করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। গত নির্বাচনে অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সহায়তা কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। তিনি বলেন, যে দলটির কথা বললাম এই দলটি নানান দেশে নানান সময়ে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে। গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচনের আগে তারা কি একটা সহিংস অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের নির্যাতন, মানুষকে মারধর করা, জাজেস কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করা কখনও দেখিনি। আসলে এসব করা হয়েছে মূলত: তারা নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে আসলে তাদের পরাজয় হবে, জয়ী হতে পারবে না। সেজন্য তারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এখন তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের কোনো সত্যতা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পরে মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দুই একটি সংগঠন বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কে কি বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, হামলা মামলা করে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল। নির্বাচন সংক্রান্ত ও গণগ্রেপ্তার, আটক, নির্যাতন সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো হামলা মামলা, আমাদের পুলিশ বাহিনী বা আমাদের পলিটিক্যাল বাহিনী করেনি। তারাই (বিএনপি) করেছে। তারা করে তারাই যদি অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমরা এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি, এগুলো সত্যের অপলাপ। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আরেকটি ষড়যন্ত্রের নতুন ক্ষেত্র তৈরির প্রচেষ্টা। আপনি বলছেন একটি দল অর্থাৎ বিএনপি অপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কিসের ওপর, কিসের ভিত্তিতে, কিসের বিনিময়ে স্টেটমেন্টগুলো দিচ্ছেন বলে আপনি মনে করেন? উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্রমাগতভাবে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তারা কে কিভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যেসব বলছে সেসব দেশে ঘটেনি। দুই একটি দেশ বাদে সব দেশ সাধুবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তারা মনে করে, দেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশই প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্য জীবন দিয়ে কাজ করে গেছে। দেশের যেকোনো সংকট ক্রান্তিকালে পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গেও পিছপা হয় না। গত বছর ১৩৪ পুলিশ সদস্য কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন দিয়েছেন। সকল শহীদ সদস্যদের জন্য নানা আর্থিক সুবিধা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করতে বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরআগে, কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে সকাল ১০টায় পুলিশ স্টাফ কলেজে স্থাপিত ‘পুলিশ মেমোরিয়াল’ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উল্লেখ্য, গত বছর কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গ করেছেন পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১৩৪ সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর জীবন দেওয়া সদস্যদের স্মরণ করা হয়। এজন্য তৈরি করা হয়েছে মেমোরিয়াল। ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৭ সাল থেকে মেমোরিয়াল-ডে পালন করছে। প্রতি বছর মেমোরিয়াল-ডে তে ওই বছরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের উপস্থিতিতে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। মেমোরিয়াল-ডে পালন করার জন্য ইতোপূর্বে রেপ্লিকা স্মৃতি তৈরি করে পালন করা হয়েছে। জেলা/ইউনিটে একই দিনে রেপ্লিকা স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে মেমেরিয়াল-ডে পালন করা হচ্ছে। এ স্তম্ভের আন্ডারগ্রাউন্ডে ১৯৯৩-২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ পুলিশে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বীর পুলিশ সদস্যদের ডাটা সংরক্ষিত রয়েছে। অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্ব উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম, প্রমুখ।
https://www.kaabait.com