স্পোর্টস: ২০১৬ সালের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক নুরুল হাসানের। এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তবে আট বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনো থিতু হতে পারেননি। আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে নুরুলকে। যতবার বাদ পড়েছেন, ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করে ফিরতে সময় নেননি নুরুল। এর মধ্যে কখনো অধিনায়ক তো আবার কখনো সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাননি তিনি। লিটন দাসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে তরুণ ব্যাটার জাকের আলীকে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। জাতীয় দলে নুরুলের মতো জাকেরও সাত নম্বরে ব্যাট করেন। যেখানে ফিনিশারের ভুমিকা পালন করতে হয়। যে দায়িত্বে সফল হলে যতটা না প্রশংসা পাওয়া যায়, ব্যর্থ হলে তাঁর থেকে বেশি দুয়ো শুনতে হয়। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া জাকেরকে তাই মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নুরুল। গত রোববার মিরপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যে জায়গায় ব্যাটিং করা হয় এটা অবশ্যই থ্যাংকসলেস কাজ। ওই সময় স্ট্রাইক রেট বেশি রেখে দলের জন্য সবসময় কন্ট্রিবিউট করাটা, ওই স্ট্রাইক রেট ধরে রাখাটা কষ্টকর হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, যে সুযোগগুলো আসে সেগুলো যদি মাথা ঠাÐা রেখে করতে পারে তাহলে অবশ্যই দলের জন্য ভালো হবে। দলের জন্য যতটুকু দেওয়ার প্রয়োজনে সেদিকে দৃষ্টি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। জাকেরের পরিণতি যেন নিজের মতো না হয় এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে বললেন নুরুল, ‘আমাদের এমনিতেই ধৈর্য কম। আমরা যদি ধৈর্য ধরি তাহলে…। আমি বলব যে, আমাদের পরিকল্পনায় দাঁড়িয়ে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ নুরুল আবার নিজেকে প্রমাণ করে বাংলাদেশ দলে ফিরতে চান, ‘জাতীয় দল তো সবসময় গর্বের জায়গা। আমার খারাপ লাগে যখন জাতীয় দলের বাইরে থাকি। আমি সবসময় চেষ্টা করবে জাতীয় দলে ফেরার। ক্রিকেটটা খেলছি তো সে জন্য।’
https://www.kaabait.com