• রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০০
সর্বশেষ :
আইসিসির টেস্ট টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ঘোষণা, নেই বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কেউই জিম্বাবুয়ের টেস্ট স্কয়াডে দুই নতুন মুখ, নেই সিকান্দার রাজা সিটির দুঃসময়ে এসি মিলানে যোগ দিলেন কাইল ওয়াকার ২০২৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি টিম অব দ্য ইয়ার ঘোষণা, নেই বাংলাদেশের কেউ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি ম্যাডিসন কিস বাহিরদিয়া গারে হেরা নূরানী ও হাফেজীয়া মাদ্রাসার সদস্য সম্মেলন ও নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন  জার্মান নাগরিকের সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্ব রেকর্ড হামাস চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো বায়ুদূষণে বন্ধ হয়ে গেল ব্যাংককের ৩৫২ স্কুল

নির্বাচন নিয়ে সরকারের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ও অস্পষ্ট: বিএনপি

প্রতিনিধি: / ২০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি দলটির সর্বোচ্চ এই নীতিনির্ধারণী ফেরাম পরবর্তী সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপদেষ্টার ভাষণের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি মনে করে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের বক্তব্য অস্পষ্ট ও পরস্পরবিরোধী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে করে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট। তার বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোড ম্যাপ সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমাংশে অনুষ্ঠানের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট কোনও সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী’, উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘এই ধরনের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে’, বলেও মনে করছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটি মনে করে, যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়ে গেছে। সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্বের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে দ্রæত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে। সভা মনে করে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত। এদিকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি। গত বুধবার গুলশানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে রায়কে ‘অ্যাপ্রিশিয়েট’ (প্রশংসা করা) করেছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এই রায়কে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। আদালত স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, নির্বাচন পরবর্তী সংসদই সংবিধান সংশোধনীর একমাত্র উপযুক্ত ফোরাম। তিনি জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে মোট ৫৫টি দফায় সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে প্রস্তাবনায় এবং তফশিলে ব্যাপক পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও বিয়োজন করার মধ্য দিয়ে সংবিধানকে একদলীয় শাসন এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের প্রধানতম হাতিয়ারে পরিণত করা হয়। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো অর্থাৎ বেসিক স্ট্রাকচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করে গণতন্ত্রকে বেহাত করে দেওয়া হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আদালত উন্মুক্ত আদালতে রায়ের ঘোষণার সময়ে কিছু কিছু বিষয়ে মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণসহ উক্ত সংশোধনীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন, কিছু অংশ সংরক্ষণ করেছেন এবং অধিকাংশ আগামী সংসদের বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু রিট আবেদনকারীরা, সংযুক্ত হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো এবং অন্যান্য অংশীজনসহ দেশের আপামর জনসাধারণ আদালতের কাছে আরও বেশি কিছু সিদ্ধান্ত আশা করেছিল।’ রিট আবেদনকারীরা পুরো পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার প্রার্থনা করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিরা রিটের পক্ষে ইন্টারভেনর হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব জানান, অবিলম্বে ফ্যাসীবাদ-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে স্থায়ী কমিটি। লিয়াজোঁ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে গত বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com