• বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২

নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহবান লোহিত সাগরে

প্রতিনিধি: / ৮০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ করতে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন কোম্পানিগুলো। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় দ্বিতীয় জাহাজডুবির পর গতকাল এই আহবান জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা নভেম্বরে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক নৌযানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। তাদের দাবি, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশেই এই আক্রমণ। এ পর্যন্ত তারা ৭০টির বেশি হামলা চালিয়েছে। তারা একটি জাহাজ ও তার ক্রুদের আটক করেছে এবং অন্তত তিন নাবিককে হত্যা করেছে। শীর্ষস্থানীয় নৌপরিবহন কোম্পানিগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, নিরপরাধ নাবিকদের তাদের কাজ করতে গিয়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। যে কাজগুলো বিশ্বকে উষ্ণ, খাদ্য ও পোশাক সরবরাহে সহায়তা করে। এই হামলাগুলো এখনই বন্ধ করতে হবে। আমরা প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহŸান জানাচ্ছি তারা যেন নিরপরাধ নাবিকদের সুরক্ষা দেয় এবং লোহিত সাগরের পরিস্থিতি দ্রæত পরিস্থিতি শান্ত করে। গত সপ্তাহে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণে গ্রিসের মালিকানাধীন কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ টিউটর-এর ডুবে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উদ্ধারকারী দল। সূত্র মতে, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই রিমোট নিয়ন্ত্রিত নৌযান দিয়ে জাহাজটিতে হামলা করা হয়েছিল। লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীকে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা প্রদানের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমা শিল্প সূত্রগুলো জানিয়েছে, হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় ড্রোন নৌযানের ব্যবহার উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এগুলো প্রতিহত করা কঠিন এবং বেশি মারাত্মক হতে পারে কারণ এগুলো পানির সীমানায় আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রধানত ডেক ও সুপারস্ট্রাকচারের ক্ষতিসাধন করে। পেন আন্ডাররাইটিংয়ের ভেসেল প্রটেক্ট-এর ইনস্যুরেন্স বিশেষজ্ঞ মুনরো অ্যান্ডারসন বলেছেন, মে মাসে যেখানে ৫টি হামলা হয়েছিল, সেখানে জুন মাসেই ১০টি হুথি হামলা হয়েছে। প্রথমবারের মতো একটি চালকবিহীন নৌযান ব্যবহারে হুথিদের সাফল্য বাণিজ্যিক নৌযানের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিমা শিল্পের সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, দ্বিতীয় জাহাজডুবির কারণে বিমার খরচ বাড়ছে। লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজের প্রতিটি যাত্রায় হাজার হাজার ডলার অতিরিক্ত ব্যয় হবে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন কটন বলেছেন, নাবিকদের সুরক্ষার ভালো উপায় হলো জাহাজগুলোকে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে যাওয়া। আমরা নৌবাহিনীর মাধ্যমে জাহাজগুলোর যথাযথ পাহারা ও সুরক্ষা প্রত্যাশা করি।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com