স্পোর্টস: লেগ স্পিনার শাদাব খানকে সুইপ করার চেষ্টায় বল আকাশে তুলে দিলেন মার্ক চাপম্যান। স্কয়ার লেগে কয়েকবারের চেষ্টাতেও ক্যাচ নিতে পারলেন না নাসিম শাহ। এর চড়া মূল্যই দিতে হলো পাকিস্তানকে। অল্প রানে জীবন পেয়ে বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন চ্যাপম্যান। দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শনিবার ৭ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। পরদিন তৃতীয় ম্যাচ একই ব্যবধানে জিতল কিউইরা। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। রাওয়ালপিন্ডিতে রোববার স্বাগতিকদের ১৭৮ রান ১০ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে এই সফরে আসা নিউ জিল্যান্ড। ১৬ রানে জীবন পেয়ে ৪২ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নিউ জিল্যান্ডের নায়ক চাপম্যান। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইম আইয়ুব ও বাবর আজমের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। তবে শুরুর সেই ছন্দ সেভাবে টেনে নিতে পারেনি তারা। ২২ বলে ৩২ রান করে ফেরেন সাইম। ২৯ বলে ৩৭ রান করেন বাবর। এই ইনিংসের পথে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েন তিনি, ছাড়িয়ে যান অ্যারন ফিঞ্চকে। পায়ে ক্র্যাম্প করায় বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান (২১ বলে ২২)। টিকতে পারেননি উসমান খানও। এই সিরিজে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান দুই ইনিংসে করলেন কেবল ৭ ও ৫ রান। পঞ্চম উইকেটে ইরফান খান ও শাদাব খানের ৩৪ বলে ৬২ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ২০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রান করেন শাদাব। ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ইরফান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন নিউ জিল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার জ্যাক ফউকস। টি-টোয়েন্টি অভিষিক্ত পেসার উইল ও’রোকও পাননি কোনো উইকেট, ৪ ওভারে তিনি দেন ৩৩ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ৩০ বলে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে নিউ জিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন টিম রবিনসন ও টিম সাইফার্ট। দুজনের কেউ অবশ্য ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ১৬ বলে ২১ রান করে ফেরেন সাইফার্ট। ১৯ বলে ২৮ রান করেন রবিনসন। ৭ বলের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চ্যাপম্যানকেও দ্রæত ফেরানোর সুযোগ আসে, কিন্তু নাসিম ক্যাচ ফেলায় তা হয়নি। সুযোগটা দুই হাতে কাজে লাগান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তৃতীয় উইকেটে ডিন ফক্সক্রফটের সঙ্গে ৬৮ বলে ১১৭ রানের বিস্ফোরক জুটিতে ব্যবধান গড়ে দেন চাপম্যান। জুটিতে ফক্সক্রফটের অবদান কেবল ৩১। শেষ ৬ ওভারে কিউইদের দরকার ছিল ৬১ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ১৫তম ওভারে আসে ১৭ রান, নাসিমের ১৬তম ওভারে ২৩। পার্থক্য গড়া হয়ে যায় সেখানেই। আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হবে লাহোরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৪ (সাইম ৩২, বাবর ৩৭, রিজওয়ান ২২ আহত অবসর, উসমান ৫, ইরফান ৩০*, শাদাব ৪১, ইফতিখার ২*; ফউকস ৪-০-৩৯-০, ডাফি ৪-০-৩৯-১, ব্রেসওয়েল ৪-০-৪০-১, ও’রোক ৪-০-৩৩-০, সোধি ৪-০-২৫-২)
নিউ জিল্যান্ড: ১৮.২ ওভারে ১৭৯/৩ (রবিনসন ২৮, সাইফার্ট ২১, ফক্সক্রফট ৩১, চাপম্যান ৮৭*, নিশাম ৬*; আফ্রিদি ৩.২-০-৩৭-০, নাসিম ৩-০-৪৪-১, আবরার ৪-০-৩১-০, আব্বাস ৩-০-২৭-২, শাদাব ৩-০-২৪-০, ইফতিখার ২-০-১৬-০)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মার্ক চাপম্যান
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে তৃতীয়টির পর ১-১ সমতা
https://www.kaabait.com