বাগেরহাট প্রতিনিধি: তামাক খাতে যে ট্যাক্স (রজস্ব) আদায় হয়, তামাক ব্যবহারকারী রুগীর চিকিৎসায় তার চেয়ে অনেক বেশী টাকা খরচ হয়। তামাক শারিরীক সক্ষমতা হ্রাস করে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তাই তামাক বিরোধী সামাজিক প্রচারণা জরুরী। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সার্বিক সামাজিক সচেতনতা তামাক নিয়ন্ত্রনে অপরিহার্য। তামাক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে পরিবার থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে লাইসেন্স লাগবে। অনুমতি ছাড়া কোন তামাকজত পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগে সকলকে
এগিয়ে আসতে হবে।’’ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা
বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রন সেলের প্রধান সমন্বয়কারী
মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এ কথা বলেছেন। সোমবার দিনব্যাপী ধুমপান ও
তামাক দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্র আইন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রন আইন ও প্রয়োগ
সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা:
খালিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় জেলা কাস্কফোর্স কমিটির সকল
সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য দেন, ডিডিএলজি ফকরুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন,
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও
আইসিটি) সাদিয়া ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান, প্রেস
ক্লাবের সভাপতি বাকী তালুদার, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,কে আজাদ
ফিরোজ টিপু প্রমুখ।
এদিন বিকেলে অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ২৫০ শয্যা বাগেরহাট
হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের
সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় ২৫০ শয্যা এ হাসপাতালের তত্ত¡াধায়ক ডা: অসীম
কুমার সমদ্দার প্রয়োজনীয় লোকবল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার
যন্ত্রপাতির তীব্র সংকটের চিত্র তুলে ধরেন।
https://www.kaabait.com