• রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৫
সর্বশেষ :
আইসিসির টেস্ট টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ঘোষণা, নেই বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কেউই জিম্বাবুয়ের টেস্ট স্কয়াডে দুই নতুন মুখ, নেই সিকান্দার রাজা সিটির দুঃসময়ে এসি মিলানে যোগ দিলেন কাইল ওয়াকার ২০২৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি টিম অব দ্য ইয়ার ঘোষণা, নেই বাংলাদেশের কেউ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি ম্যাডিসন কিস বাহিরদিয়া গারে হেরা নূরানী ও হাফেজীয়া মাদ্রাসার সদস্য সম্মেলন ও নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন  জার্মান নাগরিকের সমুদ্রের নিচে ১২০ দিন অবস্থান করে বিশ্ব রেকর্ড হামাস চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো বায়ুদূষণে বন্ধ হয়ে গেল ব্যাংককের ৩৫২ স্কুল

ঢাকা মেডিকেলের ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি সঞ্জয়ের

প্রতিনিধি: / ৪৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর হামলা-মামলার ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে সঞ্জয় পাল জয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে জেলা শহরের রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোশাররফ হোসেন। গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল জয়ের বাসা গাইবান্ধা সদর উপজেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রনজিৎ কুমারের ছেলে। ঢাকার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েন জয়। এসপি মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ঢাকা থেকে একটি বাসে করে ভোররাতে গাইবান্ধায় আসেন জয়। পরে তাকে রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জয়কে সদর থানায় রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে জয়কে নিয়ে যাবে। জয়কে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে, গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে থাকা সঞ্জয় পাল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ওই দিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর কোনো হামলা হয়নি।’ এ সময় তিনি ন্যায়বিচার দাবি করেন। প্রসঙ্গত, এর আগে গত শনিবার রাতে ঢামেকে চিকিৎসকে মারধরের ঘটনায় গত রোববার ছিল দিনভর উত্তেজনা। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার-বিচার, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে গত রোববার সকাল থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (কর্মবিরতি) পালন করেন দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও পরে সন্ধ্যায় কর্মবিরতি কর্মসূচি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। ঢাকা মেডিকেলের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ, জরুরি বিভাগে রোগীর ভিড়: এদিকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে রোগীদের ভিড় লেগে আছে। হাসপাতালের আউটডোর সেবা বন্ধ থাকায় এই বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এর আগে অপারেশন থিয়েটার ঢুকে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আপাতত কর্মবিরতি স্থগিত করে জরুরি সেবা চালু রাখা হয়, তবে আউটডোর সেবা বন্ধ থাকে। সোমবার দেখা যায়, বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। রোগীরা এসে বাইরে অপেক্ষা করছেন কাউন্টার খোলার। একে অপরকে জিজ্ঞেস করছেন কখন টিকিট দেবে। অনেকে সেবা বন্ধ আছে জানতে পেরে চলে যাচ্ছেন। যাদের বেশি প্রয়োজন, তারা জরুরি বিভাগে দেখাচ্ছেন। বহির্বিভাগের তথ্যকেন্দ্রের কর্মচারী আহাদ হোসেন জানান, বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক বসেননি। তাই বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। ঢামেকে সেবা নিতে এসেছেন ভোলা থেকে কাউসার মিয়া। তিনি বলেন, ভোলা থেকে সকালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। এসে দেখি কাউন্টার বন্ধ। ডাক্তার নাকি রোগী দেখবে না। গরিব মানুষ, প্রাইভেটে ডাক্তার দেখানোর স্বামর্থ নাই। আবার ইমার্জেন্সিতে নাকি আমাদের মতো রোগীদের দেখবে না। জরুরি বিভাগে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন আসমা বেগম। ছেলেকে নিয়ে এসেছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ছেলে। তিনি বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখনও টিকিট কাটতে পারিনি। সবাই বলছে নাকি এখানে রোগী বেশি। তাই এমন হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com