• বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩
সর্বশেষ :
বাংলাদেশে গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে  মোংলায় এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি পালন মোরেলগঞ্জ বিএনপির দুটি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আটক হয়নি কোন ঘাতক রামপালে আ ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার মূলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবান জানালেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা মোরেলগঞ্জে বিএনপির দলীয় কোন্দলে সভাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি ‘মোংলা হবে বিশ্বমানের নিরাপদ আধুনিক ও স্মার্ট সমুদ্রবন্দর, নেপাল ও ভুটানকে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আহবান’ ……… ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পাইকগাছায় মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে রিয়ালের জালে তিন গোল দিলো মিলান

ডায়াবেটিসে সুগার কমে গেলে করণীয়

প্রতিনিধি: / ২৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

স্বাস্থ্য: ডায়াবেটিস। মানবজীবনে এটি একটি মারাত্মক নীরব ঘাতক। আক্রান্তদের মধ্যে যারা ইনসুলিন নিয়ে থাকেন, তাদের রক্তে গøুকোজ বা শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে। রক্তে গøুকোজের মাত্রা ৪ মিলিমোল বা লিটারের কম হলে তাকে বলা হয়ে থাকে হাইপোগøাইসেমিয়া। সাধারণত ইনসুলিন বা মুখে সেবনযোগ্য ডায়াবেটিসের ওষুধের ডোজ বেশি হলে, খাবারে শর্করার পরিমাণ কম হলে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করলে, সময়ের খাবার সময়ে না খেলে বা কোনো খাবার না খেয়ে থাকলে হাইপোগøাইসেমিয়া রোগটি দেখা দিতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই সহজ। তবে দেরি হয়ে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। এজন্য এ রোগের লক্ষণগুলো ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জেনে রাখা জরুরি।
রোগের লক্ষণ : মাথা ঘোরা, শরীর ঘেমে যাওয়া, ক্ষুধা লাগা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, অস্থিরতা, মাথাব্যথা, জোরে জোরে হৃদকম্পন হওয়া গুরুতর লক্ষণ। ঘুমের মধ্যে অনেকের হাইপোগøাইসেমিয়া হতে পারে। এর লক্ষণ হলো- ঘামে বিছানার চাদর ভিজে যাওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা, দুর্বল লাগা, অস্থিরতা। যদি শুরুতে চিকিৎসা না করা হয়, তা হলে আক্রান্ত ব্যক্তি মাংসপেশিতে দুর্বলতা অনুভব করেন, কথা জড়িয়ে যায়, ঘোর লাগে, খিঁচুনি হতে পারে, অচেতন হতে পারেন।
চিকিৎসা : নিজের হাতেই চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। লক্ষণগুলো উপলব্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে ৪ থেকে ৮ চামচ গøুকোজ বা চিনি পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এ ছাড়া ১ চামচ জেলি বা মধু অথবা অর্ধেক কাপ ফলের জুস বা ১ কাপ দুধ সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর গøুকোমিটার দিয়ে রক্তে গøুকোজের পরিমাপ করুন। যদি ৪ মিলিমোলের কম থাকে, তা হলে আবার ৪ থেকে ৮ চামচ গøুকোজ বা ১ চামচ জেলি বা মধু পান করুন। এরপর যদি না কমে, তা হলে আবার গøুকোজ খেতে পারেন। এতেও সমস্যা না মিটে না গেলে দ্রæত হাসপাতালে যান। অনেক সময় দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে ১ মিলিলিটার গøুকাগন ইনজেকশন দিতে হবে। বাসায় ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে রোগীকে দ্রæত হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রতিরোধ : হাইপোগøাইসেমিয়া প্রতিরোধ করতে ইনসুলিনের ডোজ ঠিক করে নিন। ইনসুলিন নেওয়ার ঠিক আধাঘণ্টা পর খাবার খেয়ে নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে। কোনো বেলার খাবার মিস করবেন না। খাবারে যেন শর্করা জাতীয় খাবার কম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। হাইপোগøাইসেমিয়া হলে অনেকে চকোলেট, কুকিজ, বিস্কুট খান। এটা ঠিক নয়। এগুলো থেকে দ্রæত শর্করা পাওয়া যায় না। নিয়মিত রক্তের গøুকোজ পরিমাপ করুন। নিজের সঙ্গে সব সময় শর্করা জাতীয় খাবার রাখুন। হাইপোগøাইসেমিয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা পরিবারের কোনো সদস্যকে ভালো করে শিখিয়ে রাখুন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com