স্বাস্থ্য: চোখ প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্যই প্রয়োজনীয়। চোখের ক্ষতি হওয়া মানেই জীবন অচল হয়ে যাওয়া। তাই এর যতœ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় অসাবধানতাবশত চোখে আঘাত লাগে। আবার চোখের কর্নিয়ায়ও আঘাত লাগতে পারে। অনেকেই আছেন, যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের মতো করে ঘরোয়া চিকিৎসা করে থাকেন। এতে চোখের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। তাই এমন কাজ ভুলেও করবেন না। কর্নিয়া হচ্ছে, চোখের সামনের ভাগের স্বচ্ছ একটি অংশ। স্বাভাবিক দৃষ্টির জন্য কর্নিয়া স্বচ্ছ থাকা জরুরি। স্বচ্ছতার কারণে এর ভেতর দিয়ে আলো চোখের ভেতরে প্রবেশ করে এবং পেছনের রেটিনার ওপর পড়তে পারে। তখন আমরা দেখতে পাই।
আঘাতের কারণ
বিভিন্নভাবে কর্নিয়ায় আঘাত লাগতে পারে। যেমন—
* চোখে নখের আঁচড় বা হাতের ঘষা লাগতে পারে।
* কোনো বস্তু ছিটকে এসে লাগতে পারে।
* কোনো ধারালো বস্তু ঢুকে যেতে পারে যেমন : পেনসিল, কলম, কাঁচি সুই ও তীর।
* ঝালাইয়ের কাজের সময় কোনো ধাতব কণা ছিটকে চোখে লাগতে পারে।
* চোখ প্রচন্ড ভাবে চুলকালে আঘাত লাগতে পারে।
* কর্নিয়ায় চুন বা এসিড পড়তে পারে।
* কর্নিয়ায় খেলনা দিয়ে আঘাত লাগতে পারে।
* সড়ক দুর্ঘটনায় কর্নিয়ায় আঘাত লাগতে পারে।
যেসব ক্ষতি হতে পারে
* কর্নিয়ায় ঘষা লেগে ওপরের অংশ উঠে যেতে পারে।
* ধারালো কোনো আঘাতের কারণে কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
* এই ছিদ্র দিয়ে চোখের ভেতরের পানি বের হয়ে যেতে পারে।
* অনেক সময় চোখের ভেতরে কিছু অংশ বের হয়ে যায়
ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ
* চোখে ব্যথা।
* আলোর দিকে তাকাতে না পারা।
* পানি পড়া।
* চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
* চোখ জ্বালাপোড়া করা।
* চোখ বন্ধ করতে বা পলক ফেলতে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
চিকিৎসা
চোখের আঘাতের ধরন এবং প্রকৃতি নির্ণয় করে চোখের কর্নিয়ার চিকিৎসা করা হয়। চোখের আঘাতের কারণে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনো ড্রপ বা মলম দেওয়া যাবে না। চোখের মধ্যে পানি দেওয়া সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। আঘাতপ্রাপ্ত চোখে পানি পড়া, তেল পড়া বা ঝাড়ফুঁক দেওয়া নিষেধ। চোখে কোনো রাসায়নিক পদার্থ যেমন চুন বা এসিড পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, সামান্যতম এসিড বা চুন যেন চোখের মধ্যে অবশিষ্ট না থাকে।
মনে রাখবেন, চোখে আঘাত লাগলে নিজ থেকে কোনো ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবশ্যই চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
https://www.kaabait.com