আন্তর্জাতিক: চীনের মাটিতে চীনা কোম্পানির তৈরি একটি উড়োজাহাজ প্রথমবারের মত দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক আকাশে উড়াল দিয়েছে। রোববার চীনের কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফ্ট করপোরেশন অব চায়না (সিওএমএসি) তৈরি একটি সি৯১৯ সিঙ্গাপুরে এয়ার শো তে অংশ নেয়।। যার মধ্য দিয়ে এয়ারবাস ও বোয়িং এর তৈরি যাত্রাীবাহী উড়োজাহাজগুলিকে বড় চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে চীন। উড়োজাহাজ তৈরি শিল্পে পশ্চিমাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ভাঙতে এই শিল্পখাতে বড় ধরণের বিনিয়োগ করেছে চীন। এ বছর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সি৯১৯ এবং সিওএমএসি এর পদচিহৃ আরো দৃঢ় করার ইঙ্গিতও দিয়েছে দেশটি। যদিও চীনের তৈরি এই উড়োজাহাজটি শুধুমাত্র চীনেই নিরাপত্তা সনদ পেয়েছে। বর্তমানে চারটি সি৯১৯ উড়োজাহাজ চীনের অভ্যন্তরে যাত্রী পরিবহন করছে। গত বছর সেগুলো চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে যুক্ত হয়। বিশ্ব জুড়ে উড়োজাহাজের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। যা পূরণ করতে পারছে না এয়ারবাস ও বোয়িং। তাছাড়া, স¤প্রতি বোয়িংকে তাদের তৈরি উড়োজাহাজ নিয়ে বেশ কিছু সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তাই এভিয়েশন শিল্প গভীর মনযোগে সিওএমএসি কতটা নির্ভরযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠতে পারে তা দেখছে। গত মাসে সিওএমএসি এর একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, সিওএমএসি তাদের সি৯১৯ এর উৎপাদন বাড়াতে আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে আরো কয়েকশ বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োগ করবে। চীনের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গত মাসে বলেছিল তারা এই বছর সি৯১৯ এর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে। যে প্রক্রিয়া ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। রোববার সিঙ্গাপুর উপক‚লে যে দুটো উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এয়ার শো তে অংশ নেয় তার একটি সিওএমএসি এর সি৯১৯। অন্যটি এয়ারবাস। বোয়িং এ বছর বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের এই শো তে অংশ নেয়নি। সিঙ্গাপুরের এই এয়ার শো টি এশিয়াতে সর্ববৃহৎ। চীনের মূলভ‚খÐের বাইরে সি৯১৯ এর প্রথম উড়াল ছিল গত ডিসেম্বরে হংকংয়ে।
https://www.kaabait.com