বিদেশ : ফিলিস্তিনের গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। রোববার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুরোধে জরুরি এ বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফার কার্যালয়। সূত্র: আল জাজিরা ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, ওই অভিযানে অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকেই চার জিম্জিকে উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দুটি ঘটনা একই অভিযানের অংশ কিনা,তা এখনও পরিষ্কার নয়। ওয়াফা নিউজ আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনের ডাক দিতে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা এবং পশ্চিম তীরে মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের জরুরি প্রয়োজন। এ ছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহŸান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো কার্যকর করতেও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। প্রায় আট মাস ধরে চলা যুদ্ধে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের অভাবও তীব্র। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। সেই সাথে রাফাহ শহরে অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। তারপরও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শহরটিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যোখানে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
https://www.kaabait.com