জানা গেছে, পঞ্চকরন গ্রামের শতাধিক পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালের শেষের দিকে বিদ্যুতের খাম্বা বসানো হয়। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।
তখন ওই পরিবারগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত হয়,পরবর্তীতে পরিবারগুলো অনেক দৌড়ঝাঁপ করার পর সংযোগ পেতে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তিনটা ৩৫ ফুটের বৈদ্যুতিক খাম্বা বসানো হয়,কিন্তু খাম্বা লাগানোর কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও আজ অবদি সংযোগ না দেওয়ায় স্থানীয় মহাসিন হাওলাদার শজিব হাওলাদার, মিলন হাওলাদার হাছান হাওলাদার, কুলসুম বিবি, জব্বার শেখের পরিবারসহ মোট সাতটি পরিবার চরম ভোগান্তিতে আছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এখোনো দৃষ্টিগোচর হয়নি অসহায় পরিবারগুলো। সরেজমিনে দেখা যায় তাদের অনেকের ঘরে বিদ্যুতের জন্য ওয়্যারিং করানোর পর প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও বিদ্যুতের আলো পাচ্ছেন না তারা।
এই পরিবারগুলোর মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, দিনভর উপবাসের পরে সন্ধ্যায় পড়াশোনা করার সময়ে হাত পাখা দিয়ে মশা তাড়াতে হচ্ছে। ল্যাম্প এর আলোয় দিনের পর দিন পড়াশোনা করতে হচ্ছে,কবে তারা কবে বিদ্যুুতের আলোয় আলোকিত হবে জানে না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য যা যা করণীয় তার সবই আমরা করেছি। গ্রামের সকল বাড়িতে লাইন সংযোগ দিলেও আমাদের এ কয়টি বাড়িতে পরে সংযোগ দেবে বলে ঠিকাদার চলে যায়। এরপর আমরা যতবার যোগাযোগ করেছি, দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোনো সঠিক সমাধানসহ বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম না। আমরা যাতে দ্রুত সংযোগ পেতে পারি সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওয়াদুদ খন্দকার বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি,আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর, ৮ টি পরিবার বিদ্যুৎবীহিন অবস্থায় আছে এ ঘটনাটি দুঃখ জনক,বিদ্যুতের খাম্বায় কেন লাইন টানা হয়নি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো এবং সংযোগ লাইন দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় বলেন,বিষয়টি আমি অবগত হলাম। ওই পরিবারগুলো যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পায় সে ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://www.kaabait.com