বিদেশ : আরবি জিলহজ মাসের দশম দিনে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। এদিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কুরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আর মুসলমান মাত্রই কোন দেশে কোন দিন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সেটা নিয়ে আগ্রহ কাজ করে। এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এই মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এখনো চাঁদ দেখা যায়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের মতো দেশের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে আজ জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এর মানে হলো সৌদি আরবে আগামী ১৬ জুন রোববার ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে এবং ১৫ জুন হবে আরাফার দিন। ওমান, আমিরাতে চাঁদ দেখা যায়নি সৌদি আরবে জিলহজের চাঁদ দেখা গেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এই দুই দেশে শনিবার থেকে জিলহজ মাস শুরু হবে এবং সৌদি আরবের পরের দিন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তার মানে হলো এই দুই দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদ হবে।
অন্যান্য দেশে ঈদ কবে
বৃহস্পতিবার কাতার, কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ইরাক এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এসব দেশে চাঁদ দেখা গেছে, এমন খবর গণমাধ্যমে আসেনি। যদি গতকাল চাঁদ দেখা যেত তাহলে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামী ১৬ জুন দেশগুলোতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হতো। তবে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ১৭ জুন দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলিম নাগরিকরা। এদিকে ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, জাপান, হংকং, ব্রুনাইসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশে শুক্রবার জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হবে। এসব দেশে আজ চাঁদ দেখা গেলে ১৭ জুন ঈদ উদযাপিত হবে। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ১৮ জুন ঈদ উদযাপন করা হবে।
https://www.kaabait.com