বিদেশ : কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে একটি সোনার খনি আংশিক ধসে পড়ায় সেখানে অনেকে আটকা পড়েছে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। কাকামেগা অঞ্চলের জেলা পুলিশ কমান্ডার ড্যানিয়েল মাকুম্বু এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ধসের সময় সেখানে প্রায় ২০ জন খনি শ্রমিক ছিলেন, তবে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ কেনিয়ার খনিশিল্প প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ছোট। যদিও সামপ্রতিক বছরগুলোতে এই খাত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, তবে এর বেশির ভাগই অনিয়ন্ত্রিত। দেশটিতে খনি শ্রমিকদের দুর্বল নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মোকাবেলা করতে হয়। মাকুম্বু আরো বলেছেন, ‘উদ্ধারকাজ চলমান। আমরা ভিড়কে দূরে থাকার অনুরোধ করছি, যাতে কাজ সহজ হয় এবং তারা নিজেরাও বিপদের মুখে না পড়ে। কারণ এলাকাটি অত্যন্ত নাজুক।’ আফ্রিকার ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় বৈধ ক্ষুদ্র খনিশিল্প ২০২২ সালে দেশটির অর্থনীতিতে ২২৪ মিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে, যার বেশির ভাগই সোনার ওপর নির্ভরশীল। এটি কেনিয়ার মোট খনিশিল্প উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক এবং এ খাতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ কাজ করে। এএফপির তথ্য অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের মে মাসে ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী হিলো এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে একটি অবৈধ সোনার খনি ধসে পড়ে এবং এতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
https://www.kaabait.com