নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া: কুতুবদিয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র আন্দোলনের মুখে অবশেষে উত্তর ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণী প্রবাহমান ওলুখালী খাল জবরদখল ও ভরাট কার্যক্রম থেকে পিছু হটলেন উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সিকদার। গতকাল রবিবার( ২১ এপ্রিল) ভোর রাত থেকে খালে ফেলা মাটি সরাতে শুরু করেছেন তিনি।
জানা যায়, চেয়ারম্যান হালিম জনস্বার্থের নাম ভাঙ্গিয়ে কালকে দখল করার চেষ্টা করছিলাম খালটি দখল করার চেষ্টা করছিলেন। গত একমাস ধরে খালে মাটি ভরাট করছিলেন তিনি।কিন্তু এতে পরিবেশ বিপর্যয় ,পানি চলাচলে বিঘ্ন, জলাবদ্ধার হুমকির মুখে পড়ে খালটি।
খালটি বেদখল হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার নেতৃত্বে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। খালটি রক্ষায় স্থানীয় এলাকাবাসি ও সাংবাদিকরা সোচ্চার হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। প্রশাসন খালে মাটি ভরাট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে নিতে বলেন।
খাল ভরাটে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় মৌলভী পাড়ার মো; শাহজাহান , নাথ পাড়ার গৌরাঙ্গ নাথ বলেন, খালটি রক্ষায় এলাকার কয়েকশত নারী-পুরুষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। উর্ধতন বিভিন্ন দপ্তরে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক খাল ভরাটের নির্দেশ দেন। অবশেষে চেয়ারম্যানের স্বার্থরক্ষার অপকৌশল বাস্তবায়ন করতে না পেরে রাতের আধারে খালে ফেলা সমস্ত মাটি ট্রাক ভরে অন্যত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
কোন প্রকল্প ছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সিএনজি টার্মিনাল, কখনো বঙ্গবন্ধু গেইট আবার কখনো টয়লেট নির্মাণের মত নানা অজুহাত দেখিয়ে খালটি দখল করার চেষ্টা করেন হালিম চেয়ারম্যান। এতে প্রতিবাদ করে
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খাল রক্ষার প্রচেষ্টায় মিডিয়ায় সচিত্র সংবাদ প্রচার করলে তাদেরকে চাঁদাবাজ বলতেও সংকোচ করেননি মেম্বার থেকে উঠে আসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও সরকারি জমি দখলে পিছপা হচ্ছেন না তিনি।