আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্সি জেলে তার আইনজীবী কবিতা সরকারের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, তিনি নির্দোষ এবং তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায় পলিগ্রাফ (একজন মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে তখন সাধারণত তার শ্বাস-প্রশ্বাস হার, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, ঘাম প্রভৃতির কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে।) পরীক্ষার সময়ও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।সঞ্জয় রায়কে ১০টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি হলো চিকিৎসককে হত্যার পর তিনি কী করেছিলেন। এর উত্তরে সঞ্জয় জানান এই প্রশ্ন অবান্তর কারণ তিনি তাকে হত্যা করেননি। কিন্তু হিন্দুস্তান টাইমস এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ৯ আগস্ট নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাÐের পরদিন ১০ আগস্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। আর জি করের সেমিনার রুমে যেখানে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেখানে সঞ্জয়ের ব্লু টুথ হেডসেট পাওয়া গিয়েছিল। এদিকে পলিগ্রাফ টেস্টের সময় সঞ্জয় রায় দাবি করেন, হাসপাতালের সেমিনার হলে তিনি যখন প্রবেশ করেন তখন সেই চিকিৎসক অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ৯ আগস্ট সেমিনার রুমের ভেতরে পুরো শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় নারী চিকিৎসককে দেখেছেন তিনি। এরপর তিনি আতঙ্কিত হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান। তিনি ওই নারী চিকিৎসককে চেনেন না বলেও দাবি করেন। তিনি নির্দোষ হলে পুলিশকে কেন জানাননি জিজ্ঞোসা করা হলে সঞ্জয় বলেন, তিনি ভয় পেয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন কেউ তাকে বিশ্বাস করবে না। এ বিষয়ে কবিতা সরকার জানান, অপরাধী অন্য কেউ হতে পারে। যদি সঞ্জয় রায় সেমিনার হলে এত সহজে প্রবেশ করতে পারেন তার মানে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব ছিল এবং সেই সুযোগটাই কেউ নিয়েছে- দাবি সঞ্জয়ের আইনজীবীর। ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের ভেতরে ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তিনি তার দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা ডিউটি শিফটের সময় সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ময়নাতদন্তে তার শরীরে যৌন নির্যাতনের চিহ্ন এবং ২৫টি বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্যসহ পুরো দেশ।
https://www.kaabait.com