বিদেশ : বিশ্বের ২৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে, কোভিড -১৯ এর একটি সংক্রামক রূপ যাকে এক্সইসি নামে ডাকা হচ্ছে সেটি ইউরোপ জুড়ে আরও দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে এবং শীঘ্রই প্রভাবশালী স্ট্রেনে পরিণত হতে পারে। বিবিসির বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি প্রথম জুনে জার্মানিতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে এক্সইসি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, নতুন ভ্যারিয়্যান্টটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবলাইনেজ, কিন্তু এর মধ্যে কিছু নতুন মিউটেশন রয়েছে যা এটিকে শরতকালে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। যদিও ভ্যাকসিনগুলি কোভিড-১৯-কে গুরুতর ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। এক্সইসি ভেরিয়েন্ট হলো আগের ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্ট এর একটি হাইব্রিড, যা বর্তমানে ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করছে। এখনও পর্যন্ত- পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ ২৭টি দেশের ৫০০টি নমুনাতে এক্সইসি পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে ভ্যারিয়্যান্টটির শক্তিশালী বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর প্রফেসর ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেন, যদিও সা¤প্রতিক অন্যান্য কোভিড ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এক্সইসি-এর ‘সামান্য ট্রান্সমিশন সুবিধা’ রয়েছে, তবুও ভ্যাকসিনগুলোকে ভালো সুরক্ষা দিতে পারে। তবে তিনি আরও যোগ করেছেন যে এক্সইসি শীতকালে প্রভাবশালী সাবভ্যারিয়েন্ট- এর রূপ নিতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক, এরিক টোপোল বলেছেন- ‘এক্সইসি সবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। তবে এটি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।’ এক্সইসি ভেরিয়েন্টের উপসর্গগুলি আগের কোভিড ভ্যারিয়েন্টগুলির মতো, যার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ¦র, গলা ব্যথা, কাশি, ঘ্রাণশক্তি হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস এবং শরীরে ব্যথা। কিন্তু যেহেতু এটি এখনও একই ওমিক্রন বংশের একটি উপ-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভ্যাকসিন এবং বুস্টার শটগুলি যথাযথ নিলে গুরুতর অসুস্থতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জনগণকে ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তদুপরি, গবেষকরা এর লক্ষণগুলি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এক্সইসি কে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার আহŸান জানিয়েছেন।
https://www.kaabait.com