শেখ আব্দুল গফুর, কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করেছেন কপিলমুনির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু।
বুধবার বেলা ১২ টায় নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। এ সময়
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ১৯শে আগস্ট দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সময় খবর,ও দৈনিক
পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বন্ধের পথে কপিলমুনি ঐতিহ্যবাহী বাজার চাঁদা ছাড়া দোকান খুলতে
পারছেনা ব্যবসায়ীরা শিরোনাম যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও
উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকাশিত সংবাদে আমাকে ও আমাদের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে যে
বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লিখিত বক্তব্যে
তিনি জানান, কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তিরা আমার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক দক্ষতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে
আমার বিরুদ্ধে এহোনো অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাল টেনে হাজার হাজার
মন চিংড়ি মাছ মারার যে কল্পকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। সংবাদের একাংশে
লেখা হয়েছে কপিলমুনি বাজারের বেশ কিছু দোকান দখল ও লুটপাটের কথা। লুটপাট হয়েছে
সত্য কিন্তু লুটপাট ও চাঁদা নেওয়ার বিষয় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জনৈক ফারুক
মোড়লের নেতৃত্বে বাজারে অসীম রায়ের মিষ্টির দোকান লুট হয়। নাছিরপুর গ্রামের মৃত রঞ্জন
সাধুর পুত্র গৌরাঙ্গ সাধুর নেতৃত্বে নির্মাণ বিপণী ও বিশ্বজিৎ সাধুর চাউলের আড়ৎ সহ
কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। নির্মাণ বিপনির মালিক বিপ্লব
সাধু ঘটনার দিন ফোন দিলে আমি নিজেই দ্রুত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গিয়ে হামলা ও
লুটপাট রোধ করি এবং বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এরপর আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পাইকগাছায়
থানায় যায়। এবং পরবর্তীতে আমি কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনারুল ইসলাম ও
সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ সরকার সহ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার
জন্য বিশ্বজিৎ সাধুর দোকানে যায় শুধু তাই নয় সেদিন থেকে বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার
স্বার্থে প্রতি রাতে আমিসহ আমার দলের নেতাকর্মীরা অদ্যবধি তাদের পাশে রয়েছি। কোন
অসহায় মানুষ আমাকে ডাকলে আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে
থাকবো। তিনি বলেন স্পষ্ট করে বলতে চাই যদি কেউ আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রকার অপরাধ
সংঘটিত করে থাকে বা আগামীতে করে তার জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবে। এবং তাদেরকে
আইনের আওতায় আনার আহŸান জানায় । তিনি বলেন, একটি বিরোধী পক্ষ স্বাক্ষর বিহীন
অভিযোগ পত্রের আলোকে আমার বিরুদ্ধে নামিদামি পত্রিকায় কিভাবে এই রিপোর্টটি
প্রকাশিত হয় তা আমার বোধগম্য নয়। এতে পরিষ্কার ভাবে প্রমাণিত হয় আবেদন পত্রটি চক্রান্ত
মূলক ও ভিত্তিহীন। যারা বহু বছর ধরে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি করে চলেছে আওয়ামীলীগের
সঙ্গে থেকে বিভিন্ন সময় আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এবং
নির্বাচনের ভোট কাটার সহযোগিতা করেছে সেই আওয়ামীলীগের দোসররা আবারো নতুন
করে আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে।
https://www.kaabait.com