শেখ আব্দুল গফুর, কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেবল বেড়েই চলেছে। নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। সরকার কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিলেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য
যেন কিছুতেই কমছে না। মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যখন-তখন ভোগ্যপণ্যের
দাম বাড়াচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষ ও ক্ষোভের শেষ নেই।বাজারে ডিমের হালি হাফ
সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে গত সপ্তাহেই, পাড়া-মহল্লার দোকানে ৫৫ টাকা হালিও বিক্রি হতে
দেখা গেছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ টাকা। এ
সময়ে আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমই ভরসা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত তথা সীমিত
আয়ের মানুষের। তবে এ পণ্যটির দাম হঠাৎই বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন
সাধারণ ক্রেতারা। মঙ্গলবার সকালে কপিলমুনি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ডিম
বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮-৯ দিন আগে পাইকারিতে প্রতি
১০০ পিস ডিম বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১৮০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। সূত্র
বলছে, কিছুদিন আগে জেলা ও ঢাকা শহরে ডিমের দাম ইচ্ছেমত অস্বাভাবিকভাবে
কমিয়ে দেন আড়ৎ মালিকরা। সে সময় সারাদেশে ডিম হিমাগারে মজুত করা হয়েছে।
এখন দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। হুট করে দাম কমিয়ে
খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেন, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে বাড়তি
মুনাফা লুটে সিন্ডিকেট। এদিকে সবজি বাজারে রয়েছে মারাত্মক অস¦স্তি। এবার
শীতের শেষ ভাগে সবজির দাম একটু কমলেও এখন তা যেন গগনচুম্বী। আলু, ঝাল, পিয়াজ,
রসুন থেকে শুরু করে সব রকম শাক সবজির দাম চড়া হওয়ায় বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে
ক্রেতারা শুধু ঘামছেন। সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে কাঁচা ঝালের দাম। এ পণ্যটি
কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। বাড়তি আলু-পেঁয়াজের দামও।
বাজারে এখন মাছ-মাংসের দামও বেশ চড়া। এমন পরিস্থিতিতে অল্প আয়ের মানুষ সংসারের
ঘানি টানতে মারাত্মকভাবে হিমশিম খাচ্ছেন।এ বিষয়ে বাজারে সবজি ও মাছ ক্রয় করতে
আসা কাশিমনগর গ্রামের আনিচুর রহমান বলেন, বাজারে আসলে ১ হাজার টাকার নোট
মুহূর্তেই শেষ। আয় বাড়েনি, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে। সব জিনিসের দাম বেশি, সংসার
চালানো এখন দায়। বাজার করতে আসা এনজিও কর্মী আরাফাত আলম বলেন, মাস শেষে যে
বেতন পাই তা দিয়ে সারা মাসের খোরাক জুটছে না।
https://www.kaabait.com