• শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০

কপিলমুনিতে চিংড়ি শিল্পের বিপর্যেয়র পাশাপাশি চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে

প্রতিনিধি: / ৪১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

শেখ আব্দুল গফুর, কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: কপিলমুনিতে চিংড়ি চাষিরা এখন বিপর্যেয়র মুখে। উভয় সংকটের মধ্য দিয়ে তাদের লড়তে হচ্ছে। একদিকে অব্যাহত ভাইরাস অন্যদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে অক্সিজেন ফেল
করে মাছ মরে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে যখন দিশেহারা
তখনই আবার নতুন করে যুক্ত হল চোরের উপদ্রব। প্রতি রাতেই প্রায় প্রতিটা ঘের থেকে
মাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় চিংড়ি চাষিরা শেষটা কিভাবে তুলবেন তা নিয়ে
এখন তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বাকিতে পোনা ছাড়া, অন্যদিকে কর্মচারীর বেতন উভয়
সংকটে কাটাচ্ছেন এখন চিংড়ি চাষিরা। এমন করে যদি প্রতি রাতে মাছ চুরি হতে
থাকে তাহলে চাষীদের এ বছর পথে বসতে হবে। অধিকাংশ ঘের মালিকরা বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছে। কিন্তু এ বছর এমন বিপর্যেয়র কারণে ঋণ
পরিশোধ করা তো দূরের কথা পোনার দামও উঠাতে পারেনি। তারপর আবার চোরের উপদ্রব।
এরা নিরাপদ হিসাবে ব্যবহার করছে হাউলি খাল, খালে গভীর রাতে মাছ ধরার অজুহাতে তারা
নির্দ্বিধায় ঘের থেকে মাছ চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো
এরা গভীর রাতে প্রথমে খালে মাছ ধরতে নামে যাতে কেউ কোন সন্দেহ করতে না পারে,
তারপর সুযোগ বুঝে মৎস্য ঘের থেকে মাছ ধরে আবার খালে নেমে পড়ে। সন্ধ্যার পর হাওলি
খালে মাছ ধরা বন্ধ না করলে চুরি রোধ করা কোন ভাবেই সম্ভব হবেনা। দেনাগ্রস্ত
চিংড়ি চাষীরা আহাজারি করছেন। সরকারের অর্থনীতিতে একটি বড় রাজস্ব আসে
চিংড়ি খাত থেকে। চিংড়ি শিল্পের বর্তমান সঙ্কট কাটানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ
গ্রহণ না করলে এ খাতটি হুমকির মুখে পড়ে যাবে। সাদা সোনাকে রক্ষা করতে হলে,
চাষীদের মুখে হাসি ফোটাতে হলে সরকারের উচিত এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন
করা। চুরি রোধ করতে সন্ধ্যার পর হাওলি খালে মাছ ধরা বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী
অফিসার, ও ২ নং কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অত্র
এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি ঘের মালিকরা।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com