বিদেশ : চলতি সপ্তাহে সিরিয়ার ইরানি দূতাবাসে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাত কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার নিহতদের জানাজায় ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান। খবর রয়টার্সের। ইরানের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর বড় যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইসরায়েল। দেশটি তার সশস্ত্র বাহিনীকে বৃহস্পতিবার সমস্ত যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটেও আরও সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহতদের ছবি এবং ‘ইসরায়েলের ধ্বংস’ ও ‘আমেরিকার ধ্বংস হোক’ ¯েøাগান লেখা ব্যানার। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন, যারা আমাদের ক্ষতি করবে বা আমাদের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করবে তারা তাদের দেশই ক্ষতি করবে। নিহতদের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সৈন্যদের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি। তিনি ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একজন সিনিয়র কমান্ডার। সোমবার নিহত হওয়ার আগে তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস পরিদর্শন করছিলেন। গতকাল শুক্রবার তেহরানে সমবেত হওয়া জনতাকে আইআরজিসি কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন, ‘পবিত্র ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শত্রæর কোনো কাজেরই ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের সাহসীরা ইহুদিবাদী শাসকদের শাস্তি দেবে।’ সাবেক গার্ড কমান্ডার মোহসেন রেজাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।’ তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের নেতা জিয়াদ আল-নাখালা তেহরানের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ডিসেম্বর থেকে সিরিয়ায় ইরানি কর্মকর্তাদের নিহত হওয়া সিরিজ ঘটনার মধ্যে বিমান হামলাটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।
https://www.kaabait.com