ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতাঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দূর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, আইন ও বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন এবং তার শাস্তি দাবী করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য।
ইন্দুরকানী উপজেলার ১নং পাড়েরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার শাওন এর বিরুদ্ধে ২৬টি লিখিত অভিযোগ এনেছেন তারা। পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে তারা এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, প্যানল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করে সর্বকনিষ্ঠ ইউপি সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদের বিধিমালা লংঘন করে এককভাবে পরিষদের ক্ষতমার অপব্যবহার করা, পরিষদের সদস্যদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার, পরিষদের অর্থ আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যদের সম্মানি না দিয়ে নিজের কাছে গচ্ছিত রাখা, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত লোক দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প ও সহায়তা বন্টন করা, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, রেইন ওয়াটার হার্ভেষ্টারের পানির ট্যাংকির জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়, মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণে অনিয়ম, জন্ম নিবন্ধন ফি, হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ পরিষদের একাউন্টে জমা না করে সচিবের সাথে যোগ সাজোসে ভুয়া বিল ভাউচার করে আত্মসাৎ ইত্যাদি।
পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইলিয়াস খান জানান, “ পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের পর প্রথম সভার সময় একজন প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করতে হয় কিন্ত পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান গত তিন বছরেও তাহা না করে তার পছন্দমত একজনকে দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালায়। এ ছাড়াও তিনি একই স্থানে একাধিক ভূয়া প্রকল্প দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ সহ দূর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, আইন ও বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা ১২ জন সদস্যের ১০ জনই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি এবং তার শাস্তি দাবী করছি।”
বিষয়টি জানতে পাড়েরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার শাওন এর মুঠোফোনে ও হোয়াটসআ্যপে একাধিক কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আবুবকর সিদ্দীকী বলেন, “ আমি এ ধরনের একটা অভিযোগ পেয়েছি। এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আহবায়ক এবং সমাজসেবা ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরকে সদস্য করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেলে উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে”।
https://www.kaabait.com