• শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৯

অস্থিসন্ধি ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রতিনিধি: / ৪৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

স্বাস্থ্য: শরীরের যেসব স্থানে এক বা একাধিক অস্থি মিলিত হয়, সেই সব স্থানকে অস্থিসন্ধি বলা হয়। এই সন্ধিতে সৃষ্ট ব্যথা বা অস্বস্তি ভাবকে অস্থিসন্ধির ব্যথা বলে। সন্ধির ব্যথা আর্থ্রালজিয়া (ধৎঃযৎধষমরধ) নামেও পরিচিত। অস্থিসন্ধির ব্যথা সাধারণত মৃদু হয়ে থাকে। সন্ধি নাড়ানোর সময় এই ব্যথা অনুভ‚ত হয়। এই ব্যথা তীব্র হলে অস্থিসন্ধি স্বাভাবিক ক্রিয়শীলতা হারিয়ে ফেলে। তবে এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। মৃদু মাত্রার অস্থিসন্ধির ব্যথা ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমেও নিরাময় করা সম্ভব।
কারণসমূহ: বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
যেমন: ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবজনিত রোগ
ভ্যালে ফিভার
গাউট/গেঁটেবাত
অস্টিওআর্থ্রাইটিস
অস্টিওপরোসিস/অস্থিক্ষয়
জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস
সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
পলিসাইথেমিয়া ভেরা
প্রাইমারি থ্রম্বোসাইথেমিয়া
সোরিয়াসিস
বোন ক্যান্সার
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া
সেন্ট্রাল অ্যাথেরোস্ক্েলরোসিস
সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেম্যাটোসাস
হিমোক্রোমেটোসিস
কন্ড্রোম্যালেসিয়া অফ দি প্যাটেলা
ক্রন ডিজিজ
ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ
ক্রনিক নী পেইন
ডিজলোকেশন অফ দি ফিঙ্গার
ডিজলোকেশন অফ দি নী
প্রাইমারি ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি
ফোলেট ডেফিসিয়েন্সি
স্পাইনা বিফিডা
ল্যাটেরাল এপিকন্ডাইলাইটিস (টেনিস এলবো)
হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ-পি-ভি) ইনফেকশন
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ
শোগ্রেন সিন্ড্রোম
লাইম ডিজিজ
টেন্ডিনাইটিস
হাইপারট্রোফিক অবস্ট্রাক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথি (এইচ-ও-সি-এম)
লক্ষণসমূহ: এই লক্ষণের সঙ্গে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:
পিঠের ব্যথা
মাংসপেশিতে ব্যথা
অবসাদ
হাতে এবং আঙ্গুলে ব্যথা
নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়া
অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া
অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া
তরল জমা হওয়া
ফ্লু-এর মতো লক্ষণ থাকা
রাতে অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ
হাঁটু ফুলে যাওয়া
ঘাম হওয়া
ঝুঁঁকিপূর্ণ বিষয়সমূহ: কিছু নির্দিষ্ট বিষয় অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যেমন- ক্রীড়াবিদদের অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ছাড়া নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর জন্যও অস্থিসন্ধির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
* বয়স: ক্রমশ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অস্থিসন্ধির ক্ষতি সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ৪০ বছরের কম বয়স্ক ব্যক্তিদের খুব কম ক্ষেত্রে আর্থ্রাইটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগ হয়ে থাকে।
* বংশ/পরিবার: কোনো ব্যক্তির পরিবার/বংশের কারও অস্টিওআর্থ্রাইটস থাকলে তারও এই রোগ হতে পারে।
* আঘাত: খেলাধুলা বা দুর্ঘটনার কারণে আঘাত পেলে অস্থিসন্ধির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
* রোগ: জন্মগতভাবে অস্থিসন্ধি বিকৃতভাবে গঠিত হলে, বা তরুণাস্থিতে ত্রæটি থাকলে অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁঁকি বৃদ্ধি পায়।

 


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com