বিনোদন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান (৭৬) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর পিজি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিনগত রাত ১.১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর পর শেষ বারের মতো কর্মক্ষেত্র এফডিসিতে ভালোবাসায় সিক্তহন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শনিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে চিত্রনায়িকা যখন চিরচেনা জায়গায় প্রবেশ করলেন তখন অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরসহ অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ও এফডিসির কর্মকর্তা কর্মচারিরা। অঞ্জনার মরদেহ সামনে রেখে এসময় তার উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করেন উপস্থিত সহকর্মী অভিনেতা অভিনেত্রীরা। প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসি এবং চ্যানেল আইয়ে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সোনালি দিনের নন্দিত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শনিবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়। গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর নায়িকা অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার জ্বর ছিল। পরে চিকিৎসকরা জানান, তার বøাড ইনফেকশন সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে। এর ফলে হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। ফুসফুসে পানি জমেছে। এর মধ্যে স্ট্রোকও হয় একবার। অঞ্জনা একাধারে অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের এই নায়িকা দীর্ঘদিন থেকেই পর্দার আড়ালে। সিনেমায় কাজ না করলেও তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তিনি দু‘বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে একজন নামী নৃত্যশিল্পী ছিলেন তিনি। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এরপর ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দু‘বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
https://www.kaabait.com