বিনোদন: গত ৯ তারিখে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগে করেন সাধারণ ডায়েরি (জিডি)। সেই অভিযোগ নিয়ে মাঠে নামে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন-সিটিটিসি। সব শেষ গত রোববার তাদের ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের জিডির সূত্র ধরে তিনজনকে সতর্ক করেছে পুলিশ। জানা যায়, ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট একজন পুরুষ ও দুজন নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে ডেকে সতর্ক করেছে তারা। এক পোস্টের মাধ্যমে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইভার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সা¤প্রতিক সময়ে সিটিটিসি প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সাংস্কৃতিককর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন। অপু বিশ্বাসের অভিযোগের কথাও উল্লেখ করা পোস্টে। লেখা হয়, স¤প্রতি অভিনয়শিল্পী অপু বিশ্বাসও এহেন অপরাধের শিকার হন। তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ ও দুজন নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে অপপ্রচার বিষয়ে নিউট্রালাইজ করা হয়েছে এবং অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাইবার স্পেসে হেয় করা হলে এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে লেখা হয়, একটা সুস্থ ও রিজিলিয়েন্ট সাইবার স্পেস আমাদের সবার কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি সবাই আইন মানবে ও সাইবার ইথিক্সগুলো মেনে চলে নিরাপদ সাইবার ভুবন গড়তে সহায়তা করবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাংস্কৃতিককর্মী বা সাধারণ ভিকটিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উন্মুক্ত থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ৯ মে রাজধানীর ভাটারা থানায় অপু বিশ্বাস এই সাধারণ ডায়েরিটি (জিডি) করেন। ওই জিডিতে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবৎ ৩৪ ব্যক্তি ও বøগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি আমি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’
https://www.kaabait.com